বইয়ের নামঃ আরশিনগর
লেখকঃ সাদাত হোসাইন
ধরণঃ উপন্যাস
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৭১
রেটিংঃ ৫/৫
“আজ এই নিঃশব্দ চরাচরে, আকাশভর্তি সেই তারার মতোন অগুনতি তারার ফুলের নিচে দাড়িয়ে সে হঠাৎ হুহু করে কাঁদল। তার সেই কান্নার শব্দে কিনা কে জানে,অবলা গাই দুটি মাথা ঘুরিয়ে ফিরে তাকাল। মজিবর মিয়া কাঁদল।এই নির্জন তারাভরা রাতে, খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে মজিবর মিয়া কাঁদল। তার বুকের ভেতরে কবুতরের পালকের ওমের মতোন স্পর্শ লেগে থাকা সেই অনুভুতিটুকুর জন্য কাঁদল।সেই স্পর্শে আর কখনো কেউ তাকে ছুঁয়ে দেবে না বলে কাঁদল। কিংবা সে নিজেই হয়ত জানে না সে কেন কাঁদল। এই কান্না কেউ দেখল না, কেউ শুনলো না। কিন্তু যিনি এই বিশ্বচরাচর সৃষ্টি করেছেন তিনি জানেন, এই কান্না জগতের শুদ্ধতম কান্না”।
উপরের কথাগুলো যে বই থেকে উদ্ধৃত হয়েছে সেটি বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় লেখক সাদাত হোসাইনের ‘আরশিনগর’। আরশির মা নিলুফা বানু আরশিকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা যাওয়ার পর আরশির বাবা মজিবর মিয়ার কান্নার দৃশ্যপট বর্ণিত হয়েছে এই অংশে।
আরও পড়ুনঃ জানালার ওপাশে PDF রিভিউ সাদাত হোসাইন
আরশিনগর উপন্যাসের প্লট নির্মিত হয়েছে যযাতিপুর নামক একটি গ্রামকে কেন্দ্র করে।গ্রামের মানুষদের চাওয়া-পাওয়া, রাজনীতি, প্রভাবশালীদদের আধিপত্য, ধার্মিকতা,জমিজমা নিয়ে কলহ সহ নানান বিষয় উঠে এসেছে এখানে। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র আরশি। এই গল্প আরশির গল্প। আরশির একটু একটু করে বেড়ে উঠার গল্প। আরশির জীবনের উত্থান-পতনের ঢেউয়ের গল্প। তাকে ঘিরেই এগুতো থাকে উপন্যাস।
পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ যেকোনো উপন্যাসের ক্ষেত্রেই, উপন্যাসের চরিত্রগুলোকে পাঠকের কাছে জীবন্ত করে তোলা, তুলতে পারার সক্ষমতার মাঝে লেখকের এক ধরনের স্বার্থকতা থাকে।আরশিনগর মূলত লেখকের বড় কলবরের প্রথম উপন্যাস। এই সামগ্রিক উপন্যাসটিতে লেখক আরশিকে এমনভাবে চিত্রিত করেছেন, একটা পর্যায়ে গিয়ে আরশির জন্যে পাঠকের একধরনের হাহাকার তৈরি হয়।। এই যে চরিত্রকে পাঠকের কাছে জীবন্ত করে তোলা, এই জায়গায় লেখক দারুণভাবে সফল।
লিখেছেনঃ Humayun Hasnain
আরও পড়ুনঃ যদ্যপি আমার গুরু – আহমদ ছফা [PDF]
বই: আরশিনগর [ Download PDF ]
লেখক: সাদাত হোসাইন
ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন