আমাদেরকে ছোটবেলায় পাড়াপ্রতিবেশি, আত্মীয়-স্বজনরা প্রায়সময়েই একটা প্রশ্ন করতো যে বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও? এতদিন পর সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেলাম। আমি আসলে আবার ছোট হতে চাই। সেই দিনগুলি জীবনের সেরা সময়। সেই সময়টা আরও উপভোগ করতে চাই। ছোটবেলার ছড়া কবিতাগুলো আবার পড়তে চাই। আমার মতো আরও অনেকে হয়তো খুঁজে ফিরেন সেই হারিয়ে যাওয়া…
“রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই” কথাটা কতটুকু আবেগের-উদ্দীপনার সেটা ১৯৫২ সালের বাঙালিরাই ছাড়া উপলব্ধি করা যাবেনা। এই স্লোগানটি নিয়েই লেখা “বুলু” গল্পটি লিখেছেন অজিত কুমার গুহ। লেখক যখন ছোট্ট বুলুকে জিজ্ঞেস করে তাঁর কাছে সে কি চায়, তখন উত্তর আসে “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই”। ভাষা আন্দোলনের উপর লেখা গল্পটিতে লেখক এবং বুলুর সখ্যতার সাথে বাংলা ভাষাপ্রীতি উপস্থাপন করেছেন।…
এমন একটা পৃথিবী কল্পনা করুন তো যেখানে কোন আয়না আবিষ্কৃত হয়নি। নিজের চেহারা কেউ কখনো দেখতে পারেনি। আমাদের পল্লী কবি জসীমউদ্দীন সেরকম একটি প্লট নিয়েই আয়না গল্পটি রচনা করেছেন। খুবই মজার একটি গল্প যা আমাদের পাঠ্যবইয়ের আনন্দপাঠ অংশে অন্তর্ভুক্ত ছিলো। স্কুল জীবনে এমন একটি গল্প প্রতিটি ছাত্রই খুব উপভোগ করেছে। আমরা জানি বিভিন্ন দেশের বনিকরা…
কাবুলিওয়ালা গল্পটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি ছোটগল্প। এটি ১৮৯২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং পরে গল্পগুচ্ছের অন্তর্গত হয়। গল্পটিতে একজন আফগান নাগরিকের এদেশে এসে ব্যবসার সময় বাঙালি এক লেখকের ছোটো মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। মেয়েটিকে সে তাঁর দেশ কাবুলে ফেলে আসা নিজের মেয়ের মত ভালোবাসে। একদিন আফগান ব্যবসায়ী রহমত চিঠিতে খবর পায় তার মেয়ে…
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তোতা কাহিনী গল্পটি হয়তো সবারই জানা। এটি মূলত লেখকের একটি ছোটগল্প যেখানে একবার এক রাজা ‘মূর্খ’ তোতা পাখির শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। রাজপণ্ডিতদের সাথে আলোচনা করে তোতা পাখিকে শিক্ষা দেবার সকল উপকরণ তৈরি করলেন, বানালেন সোনার খাঁচা। জ্ঞানী গুণী পণ্ডিত মশাইরা এলেন পাখিকে বিদ্যা শেখাতে। এমন উদ্ভট শিক্ষার চাপ কি পাখিটি সহ্য করতে পেরেছিলো?…
আদু ভাই নামটির সাথে পরিচিত নাই এমন ছাত্র পাওয়া দুস্কর। ছাত্রজীবনে কত ছাত্রকেই না এই আদুভাই শব্দটি শুনতে হয়েছে। পড়াশোনায় একটু অমনোযোগিতা পেলেই শিক্ষকরা বলতেন তোর তো আদুভাই হয়ে থাকা লাগবে। কেমন ছিলো আদুভাই এর জীবনের গল্প? চলুন জানা যাক। উনিশ শ একাত্তর | ইমদাদুল হক মিলন | মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা Facebook Comments
সেই দীনুর কথা মনে আছে? খাঁ খাঁ রৌদ্রের তপ্ত দুপুরে নদীর পাড়ে একা একা বসে থাকা ছেলের গল্পটি? যখন সারা বাড়িতে জনমানুষের চিহ্নও থাকেনা, মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনে সবাই চলে যায় নিরাপদ আশ্রয়ে তখন সেই বালকটি একা একা পরে থাকে গ্রামে। স্কুলের পাঠ্যবইয়ে না পড়ে থাকে এখুনি পড়ে ফেলুন। গল্পের চিত্রপটটি সারাজীবন আপনার মনে গেঁথে যাবে।…
শওকত ওসমান রচিত একসূত্রে গল্পটিতে চিরায়চরিত গ্রামের একটি চিত্র ফুটে উঠেছে। ঝড়ের সময় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গ্রামবাসীর ঘরবাড়ি ও বসতভিটা। এসব ঘরবাড়ি কিভাবে গ্রামের সকলে মিলে মিশে সমবায় সমিতির মাধ্যমে পুনরায় নির্মাণ করে সে চিত্রই তুলে ধরেছেন লেখক শওকত ওসমান। গল্পটি সপ্তম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যবইয়ে পাঠ্য ছিলো। নিচের পিডিএফ থেকে পুরো গল্পটি আবার পড়ে নিতে…
আবু ইসহাকের সাথে আমার পরিচয় ক্লাস সেভেনে, ‘জোঁক’ গল্পের মাধ্যমে। প্রায় এক যুগ আগে পড়া গল্পটির প্রথম লাইনটি আজও ভুলতে পারিনি। এতোটাই মনে গেঁথেছিলো। এখনো মনে পরে সেই প্রথম লাইন, “সেদ্ধ মিষ্টি আলুর কয়েক টুকরা পেটে জামিন দেয় ওসমান।” আবু ইসহাক ‘জোঁক’ গল্পে শোষণের চিত্র তুলে ধরেছেন অতি দক্ষতার সাথে। গল্পটিতে বর্গাচাষিদের জীবন চরিত্র লেখক…
মহাপতঙ্গ গল্পটি আমাদের সময়ে নবম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত ছিলো। এই গল্পটি পড়ে এমন কিছু শব্দ শিখেছি যা এখনো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করি। যেমনঃ কুণ্ডলী ফুসফুস, চিঁহি টগবগ, হাম্বা হাম্বা, দু-পেয়ে দৈত্য ইত্যাদি। চড়ুই পাখির প্রতি প্রেমটা কখনোই কমবে না শুধু এই গল্পটির জন্য। এভাবেও যে গল্প বলা যায় সেটা আবু ইসহাক এর এই গল্পটি…
অলক্ষুণে জুতো খুবই মজার একটি গল্প। গল্পটিতে এক অলক্ষুণে জুতোর কথা বলা হয়েছে যার কারণে জুতোওয়ালার জীবনে নেমে আসে নানা বিপর্যয়। কেন সেই জুতো অলক্ষুণে আর কি কি বিপদ সামনে এসেছিলো জানতে হলে একটানে পড়ে ফেলুন গল্পটি। যারা ছোটবেলায় নতুন বছরে বাংলা বই হাতে পেয়ে আনন্দপাঠের গল্পগুলো একটানে পড়ে ফেলতে পছন্দ করতেন তাঁদের জন্য আমাদের…
