১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমী থেকে গবেষণা বৃত্তি নিয়ে পি.এইচ.ডি করার প্রচেষ্টা চলাকালীন সময়ে অধ্যাপক আব্দূর রাজ্জাকের সাথে আহমদ ছফার প্রথম পরিচয়। তিনি ১৮০০ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল বাংলার মধ্যশ্রেণীর বিকাশ, সাহিত্য সংস্কৃতি এর উপর গবেষণা করার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের সাথে পরিচয় এবং তারপর ক্রমেই অন্তরঙ্গতা হয়ে উঠা নিয়েই “যদ্যপি আমার গুরু” বইটি লেখেন।
আব্দূর রাজ্জাক স্যার ছিলেন একটা ফ্যাক্টরেরর মতো, যে মানুষকে প্রবাহিত করতে পারতেন। সেই জন্যই তার কাছে সব সময় থাকার চেষ্টা করতেন আহমদ ছফা। তিনার দীর্ঘ ২৭ বছর, তিনি অধ্যাপক রাজ্জাক স্যারের নিকট কাটান। যার ফলে তিনি তার সম্পকে অনেক কিছুই জানতে পারেন এবং সেই সব আলোচনার যতটুকু লেখক আহমদ ছফার মনে ছিলো। সবটাই লিখতে চেষ্টা করেছেন এবং আহমদ ছফার জীবনে কতটা দরকার ছিলো এই মহান ব্যক্তিটিকে তা জানতে পারবেন এই বইটিতে। স্যার আব্দুল রাজ্জাক কেমন জ্ঞানি ব্যক্তি ছিলেন তখনকার সময় সেটা এই বইটাতেই খুব সুন্দর ভাবেই তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে ৫০০ বই পড়া উচিত
এই বইটিতে বাংলা এবং কলকাতার সব লেখকদের চরিত্রটাকে একটা লাইনে করে করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ থেকে শেখ মজিব সবাইকেই পাবেন। তাদের চরিত্র কেমন ছিলো? সেটাও জানতে পারবেন।তখনকার সময়কার রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং সাহিত্য সব।
বইটা যতক্ষণ পড়েছি। সত্যি বলতে মনে হয়েছে সেই মহান ব্যক্তিটি বুঝি আমার সামনেই বসে আছেন। এতো মহৎকর্ম আর বিশাল হ্নদয়ের মানুষের কথা পড়তে বসেছি মনে হয়নি।আহমদ ছফা যেনো কালির কলমে রঙিন পর্দার কোনো মুভি অন্য করে বসে ছিলেন। সত্যিই বইটা দারুন একটা বই ছিলো। পড়ে দেখতে পারেন, একটুও বিরক্তি আসবেন না। উল্টু এটা পড়ার পর আপনার বই পড়ার আগ্রহ বাড়বে।
লিখেছেনঃ রেজাউল করিম
বইঃ যদ্যপি আমার গুরু [ Download PDF ]
লেখকঃ আহমদ ছফা