মন খারাপের সঙ্গী হিসাবে সর্বদা হুমায়ূন স্যারের বই চলে।ব্যস্তার মাঝে ছোট উপন্যাসটি পড়ে ফেল্লাম।এমনিতে অনেক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করা হয় না সময়ের অভাবে।কিন্তুু এটাতে অংশগ্রহণ করার প্রবল আগ্রহ জন্মাইলো।জন্ম ম্যাসব্যাপী আমার পড়ার লিস্টে থাকবে শুধুই হুমায়ূন আহমেদের বই। অনেক তো আজাইরা প্যাঁচাল পারলাম এখন রিভিউ শুরু করি….
আখ্যানঃ উপন্যাসের মূল চরিত্র মনে হলো মিজান সাহেব। মা, স্ত্রী, বাবলু,লীনা,বীণা ও বুলু এই চার সন্তান নিয়ে ছোট অভাবে সংসার। মিজান সাহবেব একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে হিসাব শাখাতে কাজ করে ক্যাশিয়ার হিসাবে। অনেকটা রগচটা প্রকৃতির মানুষ।অফিসের হিসাবের বড় রকম গন্ডগোল করেছে। ফলে সে হিসাব বাড়িতে এসেও মিলাতে পারছে না।এই নিয়ে প্যারাতে আছে। এই দিকে মিজান সাহেবের মার মাথা খারাপ।কেউ কথা বললে বা কাক কা-কা ডাকলেও তিনি বলবে তুই মর হারামজাদী বা হারামজাদা।
অন্য দিকে তার মেয়ে-ছেলের বি.এ পরীক্ষকার রেজাল্ট বের হয়েছে। বীণা আশারুপ রেজাল্ট থেকেও ভালো রেজাল্ট করে পাশ করেছে কিন্তুু বুলু তৃতীয় বারের মতো পরীক্ষা দিয়েও ফেল করেছে।সে কারণে বাবার ভয়ে বাসা থেকে পালিয়ে গেছে।যে কারণে বীণা পাশ করে ও তার প্রচন্ড মন খারাপ।
অনেক দিন পড় বুলু বাসায় ফিরে এসেছে পায়ে শিমুল কাঁটা নিয়ে।এই কাঁটা অপারেশন করার মাঝে বুলু মারা যায়। এইদিকে বীণার বান্ধবী অলিক।তার মা নেই।অসুখে মারা যায়।সেইম অসুৃখ তারও হয়েছে। ফলে অনেকটা পাগলী টাইপ হয়ে গেছে।মৃত্যু নিয়ে চিন্তার করে করে অনেকটা অদ্ভুদ চিন্তার তার মাথায় ঘুরে ফির যৌনতা, শিমুল গাছ দেখতে কেমন!! চিকিৎসা জন্য অলিক আমেরিকার চলে যায় সেখানে বুলুর মৃত্যু খবর শুনে,লম্বা একটি চিঠি লিখে। এই দিকে মৃত্যুপথযাত্রী বুলু মরার আগে অলিকে দেয়া চিঠিতে কি লিখে ছিলো জানতে চেয়েছিলো।
এইদিকে মিজান সাহেব এই ছেলেটি খুব ভালবাসতেন,এই কথাটি কখনও বলতে পারে নি।এইভাবে শেষ হয়ে যায় ছোট উপন্যাসটি।
☞পাঠ ও প্রতিক্রিয়া এবং পর্যালোচনাঃ ছোট উপন্যাস এক বসাতে শেষ করলাম। ছোট বইটিতে সংসারে অনেক ঘটনা লেখক তুলে ধরেছেন। ভাই বোন ও বাবা সন্তানের বিভিন্ন আচরণ তুলে ধরা হয়েছে। অফিসে বস ও কর্মচারীদের বিভিন্ন দিক তুলা হয়েছে। সব মিলিয়ে পারফেক্ট একটা উপন্যাস ছোট উপন্যাস হলেও কয়েকটা ব্যাপার মনে হলো লেখক কেমন কাটপিচ করে ফেলেছে। শিমুল কাঁটা দিয়ে বুলু মারা যাওয়ার ব্যাপারটা।শিমুল কাঁটা কি খুব মারাত্মক জিনিস? আমার জানা নেই- অন্য দিকে অলিকের অসুখ এবং তার মায়ের চর্মরোগ টাইপ রোগে মারা যাওয়া, ব্যাপারটা একটু ধোয়াসা লেগেছিলো। তাছাড়া সব মিলিয়ে সুখপাঠ্য উপন্যাস।
বইঃ মাস্টার মশাই [ Download PDF ] লেখকঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন Download রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত সকল বই ডাউনলোড করুন Facebook Comments
বইয়ের নাম:- এবং হিমুলিখেছেন :- হুমায়ূন আহমেদ রাত একটা ; হিমুর জন্য এমন কোনো রাত না। বলা যায় রজনীর শুরু মাত্র। তাই সে তার স্বভাব মতো রূপার দেয়া পকেটবিহীন সিল্কের পাঞ্জাবী পরে রাস্তায় হাঁটতে বের হয়েছে। আর কিছু দূর এগিয়েই তার দেখা হয় টহলরত পুলিশের সাথে। পুলিশ স্বভাবতই তাকে জেরা করতে থাকে। আর ঘোরপ্যাঁচযুক্ত উত্তর…
বইঃ সেদিন চৈত্রমাস [ Download PDF ] লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন Download হুমায়ূন আহমেদ রচিত সকল বই রিভিউ সহ PDF ডাউনলোড করুন Facebook Comments
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যে বইগুলো পড়া আবশ্যক বলে মনে হয় সেরকম একটা তালিকা চাওয়া হয়েছিলো দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে ৫০০ বই পড়া উচিত বলে মনে করেন সেই তালিকাটি নিচে দেয়া হলো। সময় থাকলে কমপক্ষে ১০০ বই হলেও পড়ে নিতে পারেন। উল্লেখ্য যে তালিকাটি এলোমেলোভাবে সাজানো…
বইঃ বনলতা সেনলেখকঃ জীবনানন্দ দাশ এক বিমূঢ় যুগের বিভ্রান্ত কবি জীবনানন্দ!!নির্লিপ্ততা আর অগোচরে থাকা যার চির স্বভাব সেই নির্লিপ্ততাই তাকে দিয়েছে অনন্য এক ব্যক্তি সত্তা। বলছি ইতিহাসের সেই কবির কথা জীবদ্দশায় যার প্রায় সমবয়সী এবং সমসাময়িক কবি নজরুলের একচুল পরিমাণও খ্যাতি এবং গ্রহণযোগ্যতা’তো ছিলই না বরং কুড়িয়েছে সমালোচকদের অঘোর পিছুটান। কবি হওয়ার আশায় যিনি কবিতা…
বইঃ চরিত্রহীন লেখকঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়প্রকাশনীঃ জয় প্রকাশনপৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২২২মুদ্রিত মূল্যঃ ২২০৳ যারা যারা বইটা পড়েছেন তাদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন, এই বইয়ের নাম যে ” চরিত্রহীন “, কিন্তু বইয়ে চরিত্রহীন কে ছিলো? আদৌ কি কেউ ছিলো? Download গল্পের মূল চরিত্র সতীশ না উপেন্দ্র তা নিয়ে আমি যদিও সন্ধিহান, তবে তাদের দুজনের বন্ধুত্ব নিয়ে একদমই নয়। এই…
