বইঃ বিন্দুর ছেলে
লেখকঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
কিশোর দের জন্য যদি কোন বই সাজেস্ট করতে বলা হয় তবে আমি বলব “বিন্দুর ছেলে”। অসাধারণ মমত্ববোধের এক উজ্জল নিদর্শন এই বই। “মা” ছোট্ট শব্দের বড় অর্থবোধ সম্পন্ন মহিয়সী নারী। যার সম্পর্কে কাউকেই নতুন করে বলার নেই, বোঝানোর নেই। এ জিনিস কেবলমাত্র অনুভবের….. প্রতিটা শিরা উপশিরায়, মনে মস্তিষ্কে, হৃদয়ের প্রতিটি প্রকোষ্টে যিনি মিশে আছেন অবিচ্ছেদ্য হয়ে।
কোন একসময় একটা গল্প পড়েছিলাম এক সিংহের নতুন বাচ্চা মারা যাবার পর একটা হরিণ শাবক কে নিজের বাচ্চার মতো প্রতিপালক করেছিল। কতোটুকু হলে নিজের পেটে খাদ্য হিসেবে হজম করার জিনিস কে মাতৃত্বের বন্ধনে বাঁধা যায়!!!
মুগলি যখন তার মা বাবার কাছ থেকে হারিয়ে জঙ্গলে চলে যায় তাকে মায়ের স্নেহ দিয়ে বড় করে তোলে ভালুক। নিজের স্তন্যদানে ভুলে যায় পশুশিশু আর মানব শিশুর কি পার্থক্য……. এই হল মা, মায়ের মমতা, ভালোবাসা। যার কাছে সাদা কালো, ভালো মন্দ, সুন্দর কুৎসিত সব মিলে মিশে একাকার।
আরও পড়ুনঃ মহেশ গল্প – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বিন্দুর ছেলে ও তার ব্যতিক্রম কিছু না। বড় জা অন্নপূর্ণা তার ছেলেকে দেয় বিন্দুর কোলে…. ধীরে ধীরে ” অমূল্য ” তার কোলেই বড় হতে থাকে। বিন্দু ভুলে যায় এ তার নিজের সন্তান নয়। আর দশটা স্বাভাবিক মায়ের মতোই সেই ও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকে ছেলেকে নিয়ে। তার ধ্যান জ্ঞান সবই ছেলে।
ভুল বোঝাবুঝির এক পর্যায়ে দুই জা আলাদা হয়ে গেলেও আলাদা করতে পারেনা নিজের মাতৃত্ব কে। ছেলেকে দেখতে না পারার অসহনীয় বেদনা কুঁড়ে কুঁড়ে খায় বিন্দুকে। ছোট মা এর জন্য অমূল্য’র ও খারাপ লাগা শুরু হয়।
আরও পড়ুনঃ বিলাসী গল্প – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
একসময় আত্মাহুতির আপ্রাণ প্রয়াসে নামে বিন্দু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হয় ??? জানতে হলে পড়তে হবে “বিন্দুর ছেলে”। গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনি ও আবেগে ভাসবেন। টুপ করে এক ফোঁটা চোখের পানি গড়িয়ে পড়বে নিজের অজান্তে…… মনে মনে আওড়াবেন “মা, আমার মা”।
লিখেছেনঃ Shirin Akter
বইঃ বিন্দুর ছেলে [ Download PDF ]
লেখকঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচনা সমগ্র