বাংলা সাহিত্যে নানা কালজয়ী চরিত্র তৈরি করেছেন নানা লেখক। প্রজন্মের পর প্রজন্ম আমরা সেই সকল চরিত্র দিয়েই লেখকদের মনে রাখি।
সত্যজিৎ রায় সিনেমার জন্য যেমন অবদান রেখেছেন তাঁর জীবদ্দশায়, ঠিক তেমনি সাহিত্যেও রেখেছেন। ফেলুদা থেকে শুরু করে নানা চরিত্র তাঁর হাতেই গড়া এবং যা আমাদের শৈশব এবং কৈশোর, কখনো কখনো যুব বয়সকেও রঙিন করেছে। সত্যজিৎ রায় সত্যজিৎ রায় সিনেমার জন্য যেমন অবদান রেখেছেন তাঁর জীবদ্দশায়, ঠিক তেমনি সাহিত্যেও রেখেছেন। ফেলুদা থেকে শুরু করে নানা চরিত্র তাঁর হাতেই গড়া এবং যা আমাদের শৈশব এবং কৈশোর, কখনো কখনো যুব বয়সকেও রঙিন করেছে।
প্রফেসর শঙ্কু তেমনি একটি চরিত্র। তিনি একজন বিজ্ঞানী এবং চিরকুমার। ভারতীয় এই বিজ্ঞানীর বিশ্ব জোড়া নাম, এবং তা অবশ্যই নানা আবিষ্কারের জন্য। সাহারা মরুভূমি থেকে আফ্রিকার বনভূমি, ব্রাজিলের আমাজন থেকে মিশরের তুতানখামেনের সমাধি, সমুদ্রের তলদেশ থেকে অজানা উদ্ভট দ্বীপ- সবখানেই প্রফেসর শঙ্কুর বিচরণ। অদ্ভুত এবং বিস্ময়কর আবিষ্কার যা নিয়ে জানার পর মনে হয়, সত্যি যদি এসব থাকতো তবে পৃথিবী অনেক সুন্দর হতো। তাঁর বিজ্ঞানী হওয়ার পিছনের গল্পও জানা যায় সমগ্রতে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে ৫০০ বই পড়া উচিত
শঙ্কু সমগ্র মূলত সত্যজিৎ রায়ের ছেলে সন্দীপ রায়ের মাধ্যমে করা এবং এই কারণেই অসম্পূর্ণ দু/তিনটি গল্পও পাওয়া যায়, যা সত্যজিৎ রায় শুরু করেও শেষ করতে পারেন নি।যদিও বিতর্ক আছে যে এই চরিত্র দিয়ে যা সকল গল্প আছে, তা অতিরঞ্জিত কল্পনার ফলপ্রসূ। কিন্তু প্রফেসর শঙ্কু নিয়ে পড়লে অবাক হতে হয় এর আশেপাশের ভৌগোলিক এবং নানা ঐতিহাসিক ব্যাপার নিয়ে ভাবলে, সেসব কিন্তু বানানো না। এজন্য বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলো কল্পনার হলেও প্রফেসর শঙ্কু কিন্তু মনে দাগ কাটে এবং অবাক হতে হয় লেখকের কল্পনার দৌড় দেখে। এভাবেও কল্পনার ছবি আঁকা সম্ভব! কেমন করে কল্পনাকেও বাস্তব করে তুলেছেন সত্যজিৎ রায় জানতে হলে শঙ্কু সমগ্র পড়ে ফেলুন।
সুপ্তি দাস চৈতি শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
শঙ্কু সমগ্র pdf free download করুন