বইয়ের নামঃ মেঘনাদবধ কাব্যলেখকঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত “মেঘনাদবধকাব্য” পড়ব এ ইচ্ছা আমার বহুদিনের। আজ পূরণ হল তা বলা যাবে না। কারন আমি মূল কাব্যটি পড়িনি। হায়াত মামুদের সরলীকৃত গদ্যে রূপান্তরিত টা পড়েছি। যদিও কাহিনীর শেষে মেঘনাদ মারা যায়, তবুও এ উপাখ্যানের নায়ক যে মেঘনাদ তা নাম দেখলেই বোঝা যায়। মধুসূদন দত্তের মত আমিও মেঘনাদের অকাল…
বই – কৃষ্ণকুমারীলেখক – মাইকেল মধুসূদন দত্তধরন – নাটকপ্রকাশনায় – জয় প্রকাশনমুদ্রিত_মূল্য – ১৬০ টাকা উপমাঃ ফুল গাছে যখন কুড়ি আসে তখন দেখতে আনন্দ লাগে। আশায় থাকতে হয় কখন ফুল ফুটবে। ফুলতো সকলেই ভালোবাসে। কিন্তু সেই সুন্দর কে যখন গাছ থেকে ছিরে ভূলুণ্ঠিত করা হয়, তখন আর ধৈর্য থাকেনা। অনেকে আবার এর থেকে আনন্দও উপভোগ…
বইয়ের নামঃ- চোখের বালিলেখকঃ- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরপৃষ্ঠা সংখ্যাঃ- ১৮২ক্যাটাগরিঃ- সামাজিক রোমান্টিক উপন্যাস।প্রকাশকালঃ- ১৯০৩ সাল বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে উজ্জল নক্ষত্রের নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । রবী ঠাকুরের উপন্যাস এবং চরিত্র গুলোর ভক্ত আমি। বিশেষ করে এই ধরনের হিন্দু সামাজিক উপন্যাস তো আমার কাছে অমৃতের মত লাগে। ইচ্ছে করে হারিয়ে যাই উপন্যাসের অতল গহব্বরে। বইটি সাধু ভাষায় রচিত।…
বইঃ ক্রীতদাসের হাসিলেখকঃ শওকত ওসমানপৃষ্টাঃ ৮০মুল্যঃ ১০০ রচনাকালঃ ১৯৬২ (আইয়ুব খানের শাসনামল) “দীরহাম দৌলত দিয়ে ক্রীতদাস গোলাম কেনা চলে৷ বান্দা কেনা সম্ভব-!কিন্তু-কিন্তু-ক্রীতদাসের হাসি-না-না-না-না-” -তাতারীর শেষ উক্তি ‘ক্রীতদাসের হাসি’র মূলভাব তুলে ধরতে উপন্যাসের অন্তিম মুহূর্তে ক্রীতদাস তাতারীর এই আর্তনাদটুকুই যথেষ্ট মনে হয়েছে। পুরো উপন্যাসটিই অগ্রসর হয়েছে এই হাস্যার অপারগতার উপরেই। তবে এই আর্তনাদকে অনুভব করতে হলে…
বইয়ের নামঃ হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি লেখকঃ গোলাম মুরশিদ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৫২০প্রকাশকঃ অবসর প্রকাশনী ভারতীয় উপমহাদেশে সেই আর্য সভ্যতার বিকাশ থেকে শুরু করে বিংশ শতক পর্যন্ত সংস্কৃতি ও সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান যেমনঃ ভাষা, ধর্ম,সঙ্গীত, সাহিত্য, চিত্রকলা, স্থাপত্যবিদ্যা, পোশাক আষাক, খাদ্যাভ্যাস, নাটক, চলচ্চিত্র ইত্যাদি এর ইতিহাস এবং ক্রমবিকাশ সম্পর্কে অত্যন্ত গোছানো ও চমৎকার সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা…
বইয়ের নামঃ নীল দর্পণলেখকঃ দীনবন্ধু মিত্র প্রকাশকালঃ সেপ্টেম্বর, ১৮৬০ ‘নীল দর্পণ‘ নামটি শুনলেই মনে ভেসে ওঠে উপমহাদেশে নীল চাষ আর অসাধু ইংরেজ নীলকরদের অসহনীয় অত্যাচার আর নির্দয় নির্যাতনের কথা। ডাক বিভাগের তৎকালীন কর্মচারী দীনবন্ধু মিত্রের লেখা এই নাটকটির ১৬০ বছর পূর্ণ হলো মাত্রই। আরও পড়ুনঃ বসন্তকুমারী PDF | গাজী মিয়াঁর বস্তানী প্রেক্ষাপটঃ বিষয়বস্তু এবং প্রেক্ষাপট…
বই: উদাসীন পথিকের মনের কথা লেখক: মীর মশাররফ হোসেন ১৩ নভেম্বর ১৮৪৭। বাংলা সাহিত্যের এক মহান কিংবদন্তীর জন্ম তারিখ। পুরো নাম সৈয়দ মীর মশাররফ হোসেন। ছদ্মনাম গাজী মিয়া। এ পর্যন্ত তার তিনটি বই পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার – দুটি উপন্যাস ‘বিষাদ সিন্ধু‘ ও ‘উদাসীন পথিকের মনের কথা‘ আর একটি নাটক ‘জমিদার দর্পণ‘। উদাসী পথিকের মনের কথা বলতে…
বই: বসন্তকুমারী লেখক: মীর মশাররফ হোসেন লেখক সম্পর্কেঃ প্রথম বাঙালি মুসলমান গল্পকার, নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেন। ছদ্মনাম গাজী মিয়া। প্রথম বাঙালি মুসলমান হিসেবে ১৮৭৩ সালে লিখলেন তাঁর বিখ্যাত “বসন্তকুমারী” নাটক। এই নাটক কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত নাটক না। একই বছরই লিখা ‘জমিদার দর্পণ’ নামের নাটকটি ছিলো তুমুল জনপ্রিয় একটি নাটক। আরও পড়ুনঃ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে…
বই: জমিদার দর্পণলেখক: মীর মশাররফ হোসেন।ধরন: নাটক।পৃষ্ঠা: ৬৩মূল্য: ৬০ টাকা মাত্র।প্রধান চরিত্র: জমিদার হাওয়ান আলী, নুরুন্নেহার ও তার স্বামী আবু মোল্লা। লেখক সম্পর্কেঃ প্রথম বাঙালি মুসলমান গল্পকার, নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেন। ছদ্মনাম গাজী মিয়া। প্রথম বাঙালি মুসলমান হিসেবে লিখলেন তাঁর বিখ্যাত বসন্তকুমারী নাটক। এই নাটক কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত নাটক না। একই বছরই ‘জমিদার…
বই: বিষাদ সিন্ধুলেখক: মীর মশাররফ হোসেন (গাজী মিয়া) মাইকেল মধুদূদন দত্ত আফসোস করে একবার বলেন, বাংলা সাহিত্যে এমন কোনো মুসলিম সাহিত্যিক কি নাই যিনি কারবালার বিষাদময় কাহিনী নিয়ে লিখবেন? মাইকেলের ঐ আফসোস করার প্রায় এক যুগ পর মীর মশাররফ হোসেন লিখেন কারবালার বিষাদময় কাহিনী অবলম্বনে “বিষাদ সিন্ধু”। আরও পড়ুনঃ জমিদার দর্পণ নাটক পিডিএফ কাহিনি সংক্ষেপেঃ…
বই: তৃতীয় পুরুষ (অপুর সংসার / পথের পাঁচালির শেষ খন্ড) লেখক: তারাদাস বন্দোপাধ্যায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম দুই উপন্যাস পথের পাঁচালী ও অপরাজিত এর পর সেই কাহিনী মিলিয়ে তাঁর ছেলে তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন “কাজল“। অপুর ছেলে। যেই চরিত্র সত্যজিৎ রায়ের অপুর সংসার চলচ্চিত্রেও পাওয়া যায়। কেবল তাই নয় অপুর নাতিকে নিয়েও তিনি লিখেছেন “তৃতীয় পুরুষ“। শৈশব,…
বইঃ তারানাথ তান্ত্রিক লেখকঃ তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় হুমায়ূন আহমেদ একটা বইয়ে বলেছিলেন, তাঁর পড়া শ্রেষ্ঠ ভূতের গল্প “তারানাথ তান্ত্রিক”। কোন এক বইয়ে তারানাথ তান্ত্রিকের কিছু অংশও যোগ করেছিলেন। তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল এই বইটা পড়ার। কিন্তু নানান কারণে আর হয়ে উঠেনি। “তারানাথ তান্ত্রিক” বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক অনবদ্য সৃষ্টি। কিন্তু দুঃখের বিষয় মাত্র ২ টি গল্প লিখেই…
