মৃণালিনী উপন্যাস pdf Mrinalini pdf

মৃণালিনী উপন্যাস PDF – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | Mrinalini by Bankim Chandra

Redirect Ads

কুতুবউদ্দিন আইবেক কতৃক দিল্লি মুসলিমদের অধিকৃত হলে বখতিয়ার খিলজি বঙ্গ আক্রমণ করেন এবং মগধরাজ্য দখল৷ করে নেয়। রাজ্যচ্যুত রাজকুমার হেমচন্দ্র যেনো রাজ্য পুঃনধিকার করতে পারে সেজন্য তার গুরু তাকে পথ প্রদর্শন করেন। এবং নারীসঙ্গ যেনো তার(রাজকুমারের) লক্ষ্যচ্যুত না করতে পারে সেজন্য গুরু মাধবাচার্য হেমচন্দ্রের প্রণয়ী মৃণালিনীকে গোপনে গৌরনগরে হৃষীকেশের অবিভাকত্ব্বে প্রেরণ করেন। কিন্তু হেমচন্দ্রের বিক্ষিপ্ত মনকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য গুরু মৃণালিনীর ঠিকানা দিলেও এক বছরের মধ্যে সাক্ষাৎ করার নিষেধাজ্ঞা করে।

গৌর নগরে পৌছে গিরিজায়া নামক এক ভিখারিনীর সহায়তায় হেমচন্দ্র ও মৃণালিনী গভীর রাতে সাক্ষাৎকারের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু মাধবাচার্য কৌশলে হেমচন্দ্রকে নবদ্বীপে পাঠিয়ে দেয়। যারফলে তাদের আর সাক্ষাৎ হয়না।মৃণালিনী চুপচাপ ঘরে ঢুকতে গেলে হৃষীকেশের চরিত্রহীন পুত্র ব্যোমকেশ কতৃক কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তাকে(মৃণালিনী) কুলাটা প্রমাণ করা হয়। এবং ঘর থেকে বহিঃস্কৃত করে দেয়। গিরিজায়াকে (ভিখারিনী) সঙ্গী করে রাজকুমারের সন্ধানে বেড় হয়।

Download

রাজকুমার ইতোমধ্যে হৃষীকেশের বাড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনা শুনে মৃণালিনীকে কুলটা অপবাদ দিয়ে তাকে দূরে ঠেলে দেয়।এদিকে বৃদ্ধ গৌড়াধিপতি বার্ধক্য জনিত কারণে বখতিয়ার খিলজির বিপক্ষে যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম হলে ধর্মাধিপতি পশুপতিকে ভার অর্পণ করেন। গৌড়রাজ্য দখলের হাত থেকে বাঁচাতে এবং প্রতিশোধ নিতে মাধবাচার্য হেমচন্দ্র ও গৌড় সেনাদের সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়তে চায়। কিন্তু ক্ষমতার লোভে পশুপতি তুর্কিদের সাথে হাত মেলায়। দৈবক্রমে পশুপতির প্রেমিকা বিধবা মনোরমা ষড়যন্ত্র ধরে ফেলে এবং পশুপতিকে এহেন কাজ থেকে বিরত থাকতে বলে।

আরও পড়ুনঃ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে ৫০০ বই পড়া উচিত | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার

ঘটনাক্রমে মনোরমাই পশুপতির ছোটবেলায় বিয়ে করা বউ ছিলো যা শোনার পর পশুপতি পাগলপ্রায় হয়ে যায়। এবং স্ত্রীকে গৃহান্তর বন্দি করে। ব্যোমকেশ কতৃক যাবতীয় বিবরণ শুনে হেমচন্দ্রের ভুল ভাঙে এবং মৃণালিনীর কাছে ফিরে যায়। বখতিয়ার খিলজির মুহুর্মুহু আক্রমণে গৌড় রাজ্য তুর্কিদের অধিনে চলে যায়। এবং পশুপতিকে মুসলিম হবার শর্তে রাজ্যভার অর্পণ করতে চাইলে সে প্রত্যাখ্যান করে। সিপাহি মুহাম্মাদের সহায়তায় পালিয়ে যায়। বিজয়োল্লাসে মাতোয়ারা যবনদের(তুর্কিদের) জ্বালানো পোড়ানোর ফলে পশুপতির ঘরেও আগুন ধরিয়ে দেয়। পশুপতি মনেকরে হয়ত তার স্ত্রী মনোরমা ঘরে বন্দি হয়ে মারা গেছে তাই সেও আগুনে ঝাপ দেয় ও ইষ্টদেবতার কাছে পদানত করে মারা যায়। কিন্তু মনোরমা আগেই ঘর থেকে পালিয়ে যায়। স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে মনোরমা গঙ্গাতীরে আত্মহুতি দেয়। তার আত্মহুতির মধ্য দিয়ে শেষ হয় মৃণালিনী উপন্যাসের।

পরিশিষ্ট: মৃণালিনী ও হেমচন্দ্র দক্ষিণে গিয়ে নতুন রাজ্য স্থাপন করে সুখে শান্তিতে বসবাস করে।গিরিজায়া ও দিগ্বিজয়ের সংসার মধুর খুনসুটিতে ব্যস্ত থাকে। তুর্কিদের বিরুদ্ধে হেমচন্দ্র একদল সৈন্য তৈরি করতে থাকে এবং অপেক্ষা করে প্রতিশোধ নেওয়ার। পক্ষান্তরে বৃদ্ধ গৌড়াধিপতি তুর্কিদের আজ্ঞাবহ রাজায় পরিণত হয়ে রাজ্য চালাতে থাকে।

Download

বইঃ মৃণালিনী  [ Download PDF ]
লেখকঃ
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 

ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

বঙ্কিম রচনাবলী প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড PDF Free Download করুন এখান থেকে

Facebook Comments

Similar Posts