প্রফুল্লের বিয়ের দিনই তার বিয়ে ভেঙ্গে যায়। তার পরিবার বলতে আছে সে আর তার মা। প্রফুল্লের বিয়েতে তার মা তাদের টাকা পয়সা সব শেষ করেছে। যার ফলে এখন তাদের এই অবস্থা এমন যে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
একদিন প্রফুল্ল ঠিক করে সে তার শশুরবাড়ি ফিরে যাবে। প্রফুল্লের মা প্রফল্লকে তার শশুরবাড়ি নিয়ে যায়। প্রথমেই দেখা হয় তার শাশুড়ির সাথে। তার শাশুরি তাকে প্রথমে মেনে নিতে না পারলেও প্রফুল্লের রূপ আর কথার কাছে হার মানতে হয়। কিন্তু শশুর তাকে গ্রহন করে না এবং তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়।
প্রফুল্ল আর তার মা বাড়িতে ফিরে আসে। এর কয়েকদিন পর প্রফুল্লের মা মারা যায়। প্রফুল্ল এখন একা। একদিন রাতে তাকে কিডন্যাপ করা হয়। কোনরকমে সে তাদের কাছ থেকে পালিয়ে এক জঙ্গলের দিকে যায়। আর সেখানে সে এক ভাঙ্গা আর পুরনো একটি বাড়ি দেখতে পায়। সেখানে থাকে এক মৃত্যুমুখে প্রায় বৃদ্ধ। বৃদ্ধ মৃত্যুর আগে প্রফল্লকে বলে যায় এই বাড়ির নিচে অনেক টাকা পুতে রাখা আছে। ঘটনা চক্রে সেখানে তার সাথে পরিচয় হয় এক ডাকাতের। তারপর এখানেই প্রফুল্ল পরবর্তি ১০ বছর থাকে।
ওই ১০ বছর সে কি করে? এতো টাকা সে কি করবে? শেষ পর্যন্ত কি সে শশুর বাড়ি ফিরে যেতে পারি কিনা? এসকল প্রশ্নের উত্তর খুজতে পড়তে পারেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর “দেবী চৌধুরানী”।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে ৫০০ বই পড়া উচিত | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার
প্রথম ৩/৪ লাইন পড়ার পর থেকে কোথায় বোরিং ফিল করিনি। লেখক খুব যত্ন সহকারে চরিত্রও কাহিনী বর্ননা করেছেন। লেখক মাঝে মাঝে পাঠকের সাথে কথা বলেছেন যে বিষসয়টি আমার কাছে ভাল লেগেছে। নায়িকা প্রফুল্ল অনেক রূপসী হলেও পছন্দনীয় চরিত্র হচ্ছে সাগর (নায়কের ছোট বউ)।
হয়ত অনেকেরই পড়া শেষ। কিন্তু এটাই ছিল আমার পাঠ্যপুস্তকের বাইরে পড়া প্রথম কোন বাংলা বই। সত্যি বলতে বই পড়া শুরু হয় এই উপন্যাস দিয়েই। আলহামদুলিল্লাহ্ এখন আর বই পড়তে বিরক্ত লাগে না। যাই হোক রিভিউ হিসেবেও এটা ছিল আমার প্রথম বই রিভিউ। কেমন হয়েছে জানালে অনেক খুশি হব। আর কোন বিষয়ে ইমপ্রুভমেন্ট দরকার তা কমেন্ট করতে পারেন।
লিখেছেনঃ তাহমিদুল ইসলাম
বইঃ দেবী চৌধুরানী [ Download PDF ]
লেখকঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
বঙ্কিম রচনাবলী প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড PDF Free Download করুন এখান থেকে