টরেন্ট কি ?
প্রথমেই বলি টরেন্ট কি। টরেন্ট হলো Peer to Peer কানেকশন। P2P (peer-to-peer) ম্যাথডটা কি সেটা আগে জেনে নেই তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে। আপনি যে ফাইল টা নামাতে চান সেটার জন্য সফ্টওয়্যার / এপসে (যেমনঃ bittorrent / utorrent) রিকু্য়েস্ট দিবেন তখন অন্য যাদের কম্পিউটারে সেই ফাইলটা আছে সেখান থেকে শেয়ার দেয় এবং আপনি সেটা নামিয়ে নেন। এইখানে দুইটা কম্পিউটার Peer হিসেবে কাজ করে। পরে আপনি peer করলে আপনার কাছ থেকে সেইম ভাবে আরেক জন ফাইলটা নিতে পারবে… এভাবে ফাইল ছড়িয়ে যাবে।
এখানে রিয়েল কাহিনীটা হল, মনে করেন Gladiator মুভিটা আমার কাছে আছে। এখন আমি আমার সিস্টেম এ্যাড্রেস দিয়ে টরেন্ট ফাইল আপলোড দিলাম। আপনি যখন torrent থেকে Gladiator নামাতে যাবেন তখন ট্র্যাকার দিয়ে আমার সিস্টেমে কানেক্ট হয়ে যাবে এবং ডাউনলোড শুরু হবে। এই কানেকশন সিস্টেমটাই হল ‘peer’ = Downloader + Uploader । এজন্যই টরেন্ট হল Peer-to-peer system.
এখন যদি মনে করেন, আমার কাছ থেকে একই সাথে ৫ জন ডাউনলোড করবে তাহলে নেট স্পীড পাচঁগুন স্লো হয়ে যাবে.. কিন্তু এরা নামানোর পর যদি আপলোড দেয় আর অন্য কেউ যদি নামাতে থাকে তাহলে স্পীড পাচঁগুন ফাস্ট হয়ে যাবে। যারা যারা পুরো ‘Gladiator’ ডাউনলোড করবে এবং নামানোর পর Seeding / upload করবে, তারা হলেন Seeders… যত সিডার তত ডাউনলোড স্পীড। আরেক দল আছে যারা ডাউনলোড ঠিকই ই করছে কিন্তু ডাউনলোড করেই অফলাইন। আপলোডের নাম নাই (নিবে কিন্তু দিবে না) এদেরকে বলে Leechers (জোঁক)
আমরা টরেন্ট ব্যবহার করি কেন ?
200-400MB এর ফাইল সহজেই ডাউনলোড করতে পারি। কিন্তু ঝামেলাটা বাধে যখন লার্জ ডেটা নামাতে যায়…..ঝামেলার ব্যাপারটা হল টাইম আর ইন্টারনেট স্পীড। এজন্যই torrent একটা ফাইল সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া .. এর কোন নির্দিষ্ট জায়গা নেই। কোন ইরোর হলেও, পরে নামানো যায়.. নেট কানেকশান চলে গেলো, কম্পিউটার অফ হয়ে গেলো কোন সমস্যা নাই। নেট কানেকশান পাবার সাথে সাথে যেখানে স্টপ হয়েছিলো আবার ওইখান থেকেই ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।
টরেন্ট থেকে মুভি ডাউনলোড
খুব সহজে কিভাবে টরেন্ট থেকে মুভি নামাবেন সেটাই ধাপে ধাপে ব্যখ্যা করা হলো। নিচের ধাপ গুলো অনুসরন করুনঃ
ধাপ-১> প্লে স্টোর থেকে U-Torrent / BitTorrent Apps টি নামিয়ে নিন।
ধাপ-২> সেটিং এ গিয়ে অনলি ওয়াইফাই করে নিন। নাহলে আপনি ওয়াইফাইয়ের বাইরে থাকলে মোবাইল ডাটা খরচ হয়ে যাবে।
ধাপ-৩> গুগল ক্রোম ব্রাউজারে (#Recommended) 1337x.to এ গিয়ে কাংখিত মুভি/ সিরিজ এর সঠিক নাম লিখে সার্চ দিন।
ধাপ-৪> এই ধাপটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই ধাপেই আপনি ঠিক করে নিবেন কোন ফরমেটের, সাইজের বা প্রিন্টের মুভি ডাউনলোড করবেন। জেনে নিন কোন প্রিন্টের কোন রেজুলশনের মুভি ডাউনলোড করবেন (বিস্তারিত)
ধাপ-৫> MAGNET_DOWNLOAD / “U” তে ক্লিক করুন।
[খেয়াল করবেন ম্যগনেটে ক্লিক করলে আলাদা ট্যাব ওপেন হতে পারে। কিন্তু আপনি প্রথম ট্যাবেই ফিরে যাবেন এবং ম্যগনেটেই ক্লিক করবেন। ডিরেক্ট ডাউনলোড সাইটগুলোতে প্রচুর এড আসে, ক্যাপচা ফিলাপ করা, রোবট কিনা পরীক্ষা দেয়া, ২০-৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করা, লিংক জেনারেট হওয়া ইত্যাদি সহ নানান হ্যাপা সহ্য করতে হয়। টরেন্টে এই ঝামেলা নেই]
ধাপ-৬> MAGNET DOWNLOAD / “U” তে ক্লিক করার পর অটোমেটিক টরেন্ট এপস খুলে মুভি ডাউনলোড শুরু হবে।
এবার নির্দিষ্ট সময় শেষে আপনার মুভি ডাউনলোড শেষ হবে।
[খেয়াল করবেন টরেন্ট এপস এ মুভি ডাউনলোড শুরু হলে ৩০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন আসতে পারে। ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করে ক্রস অপশান আসলে কেটে দিন]
টরেন্ট থেকে যেকোন সিনেমা সার্চ করতে এইখানে ভিজিট করুন
কিছু কথাঃ
এখানে মোবাইলের জন্য ব্যাখ্যা করা হলেও পিসিতেও একি প্রসেস। গুগলে সার্চ করে টরেন্ট এপস ডাউনলোড করে নিলেই হবে। যেকোন দেশের যেকোন জনরার মুভি পাওয়া যায় তবে বাংলাদেশী মুভি টরেন্ট সাইটে খুব একটা পাওয়া যায়না। ডাউনলোড স্পীড আপনার নেটের স্পীড, সীড, লিচের উপর ডিপেন্ড করবে। পুরাতন বা অন্যান্য দেশের মুভির সাধারণত সিড লিচ কম থাকে। তাই ডাউনলোড হতে সময় বেশি লাগে।
সতর্কবার্তাঃ
আপনি যদি বিদেশে অবস্থান করেন, খোজ নিয়ে জেনে নিবেন সেই দেশে টরেন্ট থেকে মুভি নামানো নিষিদ্ধ কি না। নাহলে আপনি জেল জরিমানার স্বীকার হতে পারেন। আর সবসময় ভিপিএন ব্যবহার করে মুভি ডাউনলোড করাটা বুদ্ধিমানের কাজ। ভিপিএন সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।