Skip to content
Home » অন্ধকার ও মানুষের প্রশংসা | প্রথম পর্ব | মহিউদ্দিন মোহাম্মদ

অন্ধকার ও মানুষের প্রশংসা | প্রথম পর্ব | মহিউদ্দিন মোহাম্মদ

    পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী মানুষ
    Redirect Ads

    আমার ধারণা, মানুষ বুদ্ধিমান— এটি রটেছে তার খুনের দক্ষতার জন্য। মানুষের যে-প্রজাতিটি এখনও টিকে আছে, তা টিকে আছে মূলত খুন করে। গরু-ছাগল ছাড়াও সে খুন করেছে তার নিজের আরও পাঁচটি (কারও কারও মতে দশটি) প্রজাতিকে। আগামীকাল যদি বাঘ ব্যাপকহারে মানুষ খুনের দক্ষতা অর্জন করে, তাহলে পরশু থেকে, বাঘকেই বলা হবে সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান প্রাণী। এক বাঘ আরেক বাঘকে বলবে:
    সৃষ্টির সেরা জীব বাঘ।

    জাপানে যদি ওই বোমাগুলো না পড়তো, তাহলে আমেরিকানদের বুদ্ধি নিয়ে আমাদের সন্দেহ থাকতো। দু দুটি বিশ্বযুদ্ধের অভিজ্ঞতা না থাকলে, ইউরোপীয়দেরও আমরা নির্বোধ ভাবতাম। কলম্বাস আমেরিকায় পৌঁছে যদি ওই খুনগুলি না করতেন, তাহলে তিনি অবিস্মরণীয় হয়ে থাকতেন না।

    Download

    কালিগুলার আসল নাম ছিলো জুলিও সিজার। তবে সিজার নামে যেহেতু আরেকজন সম্রাট ছিলেন, তাই তিনি নাম ধারণ করেছিলেন ‘কালিগুলা’। তাঁর নামের অর্থ ‘ছোট জুতো’ হলেও, তাঁর মাথা ছিলো বড় জুতোর সমান। কালিগুলা কি বুদ্ধিমান ছিলেন? আমি বুদ্ধিমান কি না, তা আমার লেখা পড়ে অনুমান করা গেলেও, কোনো রাজার বুদ্ধি নিরূপণ করার জন্য আপনাকে হিশেব করতে হবে তার দ্বারা সংঠিত মোট খুনের সংখ্যা। দেখতে হবে, খুনী হিশেবে ওই রাজার সুনাম কেমন ছিলো। যদি শোনা যায়, রাজা খুব দয়ালু ছিলেন, খুন-খারাবি তেমন করতে পারেন নি, তাহলে বুঝতে হবে রাজা হিশেবে তিনি নির্বোধ ছিলেন। সে-হিশেবে কালিগুলাকে আমার বুদ্ধিমানই মনে হয়, কারণ মানুষ খুনে তিনি পিছিয়ে ছিলেন না।

    ট্রাম্পকে নির্বোধ বলা হয় কেন? কারণ তিনি চার বছরেও একটি যুদ্ধ বাঁধাতে পারেন নি। উল্টো ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে বন্দুক প্রত্যাহার করেছেন। এজন্য ট্রাম্পের চেয়ে আমরা, হিলারি এবং ওবামাকেই বেশি বুদ্ধিমান মনে করি। ট্রাম্প যদি হোয়াইট হাউসে ঢুকেই পূর্ব দিকে কয়েকটি মিসাইল ছুঁড়তেন, এবং হত্যা করতেন কয়েক লাখ মানুষকে, তাহলে তাঁকে নিয়ে সব হাসিঠাট্টা থেমে যেতো। কয়েকটি ইরাক, আর দুয়েকটি লিবিয়া উপহার দিলে, ফেসবুকে ট্রাম্পের ওই কার্টুনগুলো আর দেখা যেতো না।

    ট্রাম্প এমনই নির্বোধ, তিনি একজন মার্কিন নাগরিককে জেল পর্যন্ত খাটাতে পারেন নি। পূবের বানর-রাজারা তাঁর এ বোকামী দেখে বিস্মিত হয়েছেন। তাঁরা রোজ কতো বানরকে ধরে খাঁচায় পুরেন, তা ভেবে ট্রাম্পের প্রতি তাঁরা খুব করুণা অনুভব করেন।

    খুব দূর থেকে দেখলে, পৃথিবীকে একটি ইলেকট্রনের সমান ছোট মনে হবে। ইলেকট্রন বেশি বড় নয়, আকারে করোনা ভাইরাসের চেয়েও অনেক ছোট। পৃথিবী খুবই ক্ষুদ্র গ্রহ, যা কিছু মানুষ ও তাদের মোটরসাইকেলগুলো নিয়ে মহাবিশ্বের একটি ক্ষুদ্র গলিতে পড়ে আছে, এবং গলিটি, আমাদের চুলের চেয়ে মোটেও মোটা নয়। মহাবিশ্ব হয়তো জানেই না যে তার দেহে একটি পৃথিবী আছে। শরীর থেকে কোনো লোম খসে গেলে যেমন আমরা টের পাই না, মহাবিশ্বও তেমনি, হঠাৎ কোনো দুর্যোগে পৃথিবী নাই হয়ে গেলে টেরই পাবে না। সম্ভবত অনেক গ্রহই মহাবিশ্বে আছে, যেগুলোর শ্রেষ্ঠ প্রাণীর সাথে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণীটির দেখা হলে, একটি হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। মাপলে দেখা যাবে যে, ওই প্রাণীর সাথে আমাদের বুদ্ধির পার্থক্য, মানুষের সাথে ছাগলের বুদ্ধির পার্থক্যের কম নয়। চাইলেই একটি মন্দির খুলে তারা শুরু করে দিতে পারে পাঁঠা বলির মতো মানুষ বলি।

    Download

    তবে মানুষ বলি করা নতুন ও চমকপ্রদ কিছু নয়। অনেক দেশেই রাজারা মানুষ বলির উপর টিকে আছেন। কার্তেজীয়রা যখন পিউনিক যুদ্ধে রোমানদের কাছে হারে, তখন কারণ হিশেবে তারা দেবতা মওলকের অসন্তুষ্টিকে দায়ী করেছিলো। বলি হিশেবে মওলকের পছন্দ ছিলো অভিজাত পরিবারের শিশুরা। কিন্তু বলি দেয়ার সময় দেখা যেতো, অভিজাত কার্তেজীয়রা নিজেদের শিশুদের স্থলে, শুইয়ে দিচ্ছে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের। এতে, কার্তেজীয়দের দাবি, দেবতা মওলক ক্ষিপ্ত হয়ে যুদ্ধে পক্ষ নিয়েছিলো রোমানদের।

    আরও পড়ুনঃ বিশ্বসাহিত্য ভাষণ : ফিওদর দস্তয়েভস্কি | প্রথম পর্ব | Fyodor Dostoyevsky

    দেবতা হিশেবে মওলকের জন্ম হয়েছিলো, আমার ধারণা, দরিদ্রদের মগজে। মওলককে যে সৃষ্টি করেছিলো, তার নিশ্চয়ই কোনো রাজপুত্রকে বলি দেওয়ার মতলব ছিলো। কিন্তু ঘটেছিলো উল্টোটা। মওলক খেতে শুরু করেছিলো দরিদ্রদেরকেই। তবে পরাজয়ের পর কার্তেজীয়রা সতর্ক হয়েছিলো। শুধুমাত্র অভিজাত পরিবারের শিশুদেরকেই যেন বলি দেওয়া হয়, এটি তারা নিশ্চিত করেছিলো। কিন্তু কোনো লাভ হয় নি। পরবর্তী যুদ্ধে, এতো শিশু খেয়েও দেবতা মওলক, রোমানদেরই পক্ষ নিয়েছিলো।

    কার্তেজীয়রা যদি বুদ্ধিমান হতো, তাহলে এতগুলো শিশুকে খুন করার কোনো প্রয়োজন পড়তো না। একটি শিশুকে খুন করেই তারা বুঝে যেতো— কোনো কাল্পনিক দেবতা নয়, যুদ্ধ জয়ের জন্য প্রয়োজন ভালো যোদ্ধা ও সমরাস্ত্র।

    Download

    দেবতারা যে কোনো কাজের নয়, তা কার্তেজীয়রা না বুঝলেও বুঝতে পেরেছিলো আর্কেডিয়রা। আর্কেডিয়ায় যখন খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছিলো, তখন কৃষকেরা দেবতা প্যানের মূর্তিকে ধরে পিটিয়েছিলো।

    মন্দিরে যখন পাঁঠা বলি দেয়া হয়, তখন পাঁঠা ও রামদাওয়ালার মধ্যে মূল সম্পর্কটি থাকে শক্তির। যদি বলিদাতার চেয়ে পাঁঠার গায়ের শক্তি বেশি হতো, তাহলে বলির ঘটনাটি ঘটতো না। কার্তেজীয়রা যে দেবতা মওলকের উদ্দেশ্যে শিশু বলি দিতো, এর মূল কারণও ছিল শক্তি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের চেয়ে একজন শিশুর গায়ের শক্তি কম, ফলে তাকে বলি দেয়া সহজ। দেবতারা বলি হিশেবে কেন শুধু শিশু আর ছাগল-ভেড়াই চান, বাঘ ও সিংহ কেন চান না, এ নিয়ে আমি একসময় খুব কৌতুহলী ছিলাম। পরে দেখলাম যে বাঘ জবাই করা আসলে সহজ কাজ নয়। এতে পূজারী ও পূজনীয় দুজনেরই বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    আমি যখন প্রথম সতীদাহ প্রথার কথা শুনি, তখনও এ বিষয়টি নজরে এসেছিলো। যদি শরীরের শক্তিতে নারীরা পুরুষদের চেয়ে এগিয়ে থাকতো, তাহলে সতীদাহের নাম পাল্টে হয়তো স্বামীদাহ রাখতে হতো, এবং স্ত্রীদের প্রতি, স্বামীরা তাদের ভালোবাসা প্রকাশের একটি অসাধারণ সুযোগ পেতো। কারণ ভালোবাসার প্রমাণ সবসময় দুর্বলকেই দিতে হয়। মহাভারতে পাণ্ডুর দ্বিতীয় স্ত্রী মাদ্রীকে, সহমরণে গিয়ে প্রমাণ করতে হয়েছিলো যে পাণ্ডুকে সে কতোখানি ভালোবাসে।
    মানুষ যদি বুদ্ধিমান প্রাণী হতো, তাহলে এরকম প্রাণঘাতী উপায়ে সে ভালোবাসার প্রমাণ খুঁজতো না।
    একটি শিশুর সাথে আমার কথা হয়েছিলো, যে বলেছিলো— আমি মুসলমানি করবো না। আমি বললাম— তোমাকে মুসলমানি করতে হবে। কারণ তোমার গায়ে শক্তি কম। অবশ্য শিশুটির ধারণা ছিলো তার গায়ে শক্তি বেশি, কারণ সে হরলিক্স খেতো।

    সম্ভবত এরিস্টোটলই প্রথম মানুষকে বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ বলে প্রশংসা করেছিলেন। তবে এ প্রশংসার মূলে যে-কারণ ছিলো তা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। কারণটি শুনলে, আমার ধারণা, আপনাদের অনেকেই পাটিগণিতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন:

    Download

    তখন যারা যোগ-বিয়োগ জানতো তাদেরকেই বুদ্ধিমান বলা হতো। সাত আর আটে পনেরো হয়, এ হিশেবটি করার মতো মানুষ খুব বেশি ছিলো না।

    কেন কিছু মানুষ পাটিগণিত জানে, আর কিছু মানুষ জানে না, এর একটি ব্যাখ্যা অবশ্য এরিস্টোটল দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আত্মা তিন প্রকার:

    ১।
    নিরামিষ আত্মা, যা সকল উদ্ভিদ ও প্রাণীর ভেতরে অবস্থান করে। এর কাজ হলো খাবার যোগাড় করা ও বংশবৃদ্ধি করা। এই আত্মা যার ভেতরে আছে, তার সকল চিন্তা রুজিরোজগার ও খাওয়া দাওয়া নিয়ে। এরিস্টোটল বেঁচে থাকলে দেখতেন, বাংলাদেশ ও ভারতে, এই আত্মার সংখ্যা কোটি কোটি।

    ২।
    প্রাণী আত্মা, যা মানুষ ও নিচু জাতের সকল প্রাণীর ভেতরে অবস্থান করে। এই আত্মার কাজ হলো হাঁটাচলায় সাহায্য করা।

    ৩।
    বুদ্ধিমান আত্মা, যা ঐশ্বরিক। এরিস্টোটলের দাবি, এই আত্মার প্রভাব যার উপরে বেশি সেই যোগ-বিয়োগ জানে।

    তবে এরিস্টোটল যদি আধুনিক ক্যালকুলেটর ও কম্পিউটারের দেখা পেতেন, তাহলে মনে হয় আরেকটি চতুর্থ আত্মার কথা প্রস্তাব করতেন।

    Download

    আরও পড়ুনঃ বিশ্বসাহিত্য ভাষণ : মাক্সিম গোর্কি | প্রথম পর্ব | Maxim Gorky

    আমি গ্রামে অনেক মানুষ পেয়েছি যাদের বুদ্ধি এরিস্টোটল ও প্লেটোর বুদ্ধির কাছাকাছি। প্লেটো বিশ্বাস করতেন— কোনো পুরুষ এক জীবনে জ্ঞান অন্বেষণ করতে না পারলে পরবর্তী জীবনে নারী হয়ে জন্মাবে।

    প্লেটোর এ-বক্তব্য সত্য হলে, বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক মানুষকেই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত হতে হতো।
    এরিস্টোটল বলতেন:
    ১। গর্ভধারণ করা উচিত শীতকালে, যখন বাতাস উত্তর দিক থেকে বয়।
    ২। কম বয়সে বিয়ে করলে মেয়ে বাচ্চা হবে।
    ৩। পুরুষদের চেয়ে নারীদের রক্ত অধিক কালো।
    ৪। নারীর মুখে দাঁতের সংখ্যা পুরুষের চেয়ে কম।

    এরকম আরও নানা সত্য কথা এরিস্টোটল বলেছেন। তবে সত্য চিরকাল সত্য থাকে না, এরিস্টোটলের বহু সত্যই এখন লাভ করেছে কুসংস্কারের মর্যাদা, যেরকম আমাদের অনেক সত্যও কয়েক হাজার বছর পর পরিণত হবে কুসংস্কারে।

    আমার মা যখন কোথাও যাওয়ার সময়, সামনে বিড়াল পড়া নিয়ে চিন্তিত হন, তখন ভাবি— নিশ্চয়ই এরিস্টোটলের মতোই কোনো মনীষীর মাথা থেকে প্রথম এ সত্যটি বেরিয়েছিলো। ঝর্ণার জলের মতো জ্ঞানও সবসময় উঁচু থেকে নিচুর দিকে প্রবাহিত হয়। ওই মনীষী হয়তো বেঁচে ছিলেন এরিস্টোটলেরও অনেক আগে, কিন্তু তার জ্ঞান আমার মা পর্যন্ত এসে পৌঁছুতে লেগে গেছে কয়েক হাজার বছর।

    তবে মানুষ যতোটা না বুদ্ধিমান তার চেয়েও বেশি বিশ্বাসী। যদি বিশ্বাসের পেছনে সে ভালো কোনো কারণ খুঁজে না পায়, তাহলে মনে মনে নিজেই কিছু কারণ উদ্ভাবন করে ফেলে। খুব বিপদে না পড়লে সে বুদ্ধিকে বিশ্বাসের উপরে স্থান দিতে চায় না। আমি অনেক হোটেল পেয়েছি যেগুলোতে ১৩ নাম্বার কক্ষ নেই। সংখ্যা হিশেবে ১৩ অশুভ, এর পেছনে কোনো বুদ্ধিদীপ্ত কারণ খুঁজে পাই নি। এক ফ্লাইটে আমেরিকান এক বৃদ্ধার আসন পড়েছিলো ১৩বি, কিন্তু ১৩ ক্রমিকের কোনো আসনে তিনি বসতে রাজি ছিলেন না। আমি বললাম— মিলার্ড ফিলমোর তো ভালো প্রেসিডেন্ট ছিলেন, ১৩-তম হিশেবে তো তার হিটলার বা স্তালিন হওয়ার কথা। বৃদ্ধা জবাব দিয়েছিলেন:
    এজন্যই ফিলমোরের পর আর কেউ হুইগ পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট হতে পারেন নি, পার্টিটাও বাঁচে নি।

    Download

    ফ্লাইট থেকে নেমে আমি যাচাই করে দেখলাম, বৃদ্ধ্বার কথা সঠিক। ফিলমোরের পর আসলেই আর কেউ হুইগ পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট হতে পারেন নি। হুইগ পার্টিও আর হুইগ পার্টি থাকে নি, পরিণত হয়েছিলো অন্য পার্টিতে। কিন্তু বৃদ্ধা, হুইগ পার্টির অভ্যন্তরীণ কলহকে দায়ী না করে কেন ১৩ সংখ্যাটিকে দায়ী করেছিলেন, তা আমার বুঝে আসে নি। কোনো কিছুর কারণ অনুসন্ধান একটি পরিশ্রমের কাজ, যা মানুষ সাধারণত করতে চায় না। এর চেয়ে বানোয়াট কোনো কুসংস্কারের কাঁধেই দায় চাপানো ভালো।

    আরও পড়ুনঃ জিপিএ ফাইভ পদ্ধতির উদ্ভব ঘটেছিলো জুতোর ফ্যাক্টোরিতে

    বাংলাদেশের অনেক কৃষক, বুরো মৌসুমে ধানের শীষ জ্বলে গেলে ‘নজর লাগা’ ও ‘বাও লাগা’-কে দায়ী করেন। এর কারণ হলো, শীষ জ্বলে যাওয়ার প্রকৃত কারণটি তারা অনুসন্ধান করতে চান না। যদি তারা খতিয়ে দেখতেন, কী কারণে শীষ জ্বলে যাচ্ছে, তাহলে তারা যে উত্তরগুলো পেতেন তার একটি এরকম—

    উচ্চ তাপমাত্রায় (সাধারণত ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) যে-শীষগুলো বের হয়, তা জ্বলে যায়, এবং তা প্রতিরোধযোগ্য।
    শিলিগুড়িতে এক বৃদ্ধকে পেয়েছিলাম যার স্ত্রীর সংখ্যা বারো। তার ইচ্ছে ছিলো বিশটি বিয়ে করার, কিন্তু বারোতে এসে তিনি থেমে গেছেন, কারণ বাসর রাতে ১২ নাম্বার স্ত্রী তাকে ভয় দেখিয়েছে যে:

    “আমি স্বপ্নে দেখেছি, ১৩ নাম্বার স্ত্রী আপনাকে ঘুমের মধ্যে খুন করছে”।
    বৃদ্ধ এই বক্তব্য বিশ্বাস করে আর বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

    লিখেছেনঃ মহিউদ্দিন মোহাম্মদ

    ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

    Download

    বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে ৫০০ বই পড়া উচিত

    Facebook Comments
    Tags:
    x
    error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করুন