Skip to content
Home » নিষিদ্ধ লোবান – সৈয়দ শামসুল হক

নিষিদ্ধ লোবান – সৈয়দ শামসুল হক

    নিষিদ্ধ লোবান pdf
    Redirect Ads

    যখন নিষিদ্ধ লোবান বইটি পড়া শুরু করা হয়, বোঝার উপায় নেই যে ঠিক কোন প্রেক্ষাপটে উপন্যাসটি লেখা। এক নারী, বিলকিসকে নিয়ে ঘটনা চলতে থাকে। ধীরেধীরে পাওয়া যায় সিরাজ নামের একটি কিশোরকে। বোঝা যায় মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়কে আমরা দেখছি। নিষিদ্ধ লোবান বইটির ঘটনা প্রবাহে দেখা যায় নিজ গ্রামে ফিরতে চাওয়া নারী বেশ কয়েকমাস একা ঢাকার বাসায় থাকতেন কারণ রাতের ডিউটিতে পত্রিকা অফিসে কাজ করা স্বামী আলতাফ বাসায় ফেরেনি, ঠিক যেদিন পাকবাহিনী আগুন দিয়েছিল অফিসটাতে, তারপর থেকে। কিন্তু মরদেহও পাওয়া যায় নি। নিজ গ্রামে ভাই, বিধবা বড় বোন সন্তানসহ, মা, এদের কাছেই ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু জানা ছিল না পাকবাহিনীর হামলায় গ্রাম বিপর্যস্ত।

    সিরাজ নামের ছেলেটি এই বিপদসঙ্কুল পথেও সঙ্গী হয়ে এগিয়ে দিতে যায়। কিন্তু গ্রামে পৌছে খবর পাওয়া যায় কেউই নেই গ্রামে। ঘটনার প্রবাহে দেখা যায় সিরাজের একধরণের স্নেহ এবং ভালোবাসা এই সবেমাত্র দেখা হওয়া নারীর প্রতি। কারণ সিরাজ নিজ পরিবার হারিয়েছে এই পাকবাহিনীর হাতে। নিজ বোনকে সম্মান হারিয়ে খুন হতে দেখেছে। নিজে পালিয়ে বেঁচে আছে বলেও একধরনের আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। ধীরেধীরে জানা যায়, বিলকিসও হারিয়েছে তাঁর ভাইকে। বাজারেই সারি করে গুলি করে হত্যা করেছিল পাকবাহিনী, সৎকার হয় নি। নির্দেশ ছিল সৎকার না করার।

    Download

    নিজ ভাইকে কবর দিতে শত বিপদ মাথায় নিয়ে এই নতুন ভাই সিরাজকে নিয়ে রাতের অন্ধকারে পথে নামেন বিলকিস। কিন্তু অজস্র লাশের মাঝে শুধু নিজের ভাইকে পায় না। অনেককে কবর দিতে দিতে রাত ভোর হয়। দিনের আলোয় গা ঢাকা দেয় পাটের গুদামে। ইচ্ছা রাত নামলে আবার বাকী সবাইকে কবর দিবে। কিন্তু বিধিবাম, পরের রাতে ধরা পরে দুজন, কারণ আগের রাতের কর্ম দিনের আলোয় সবার চোখে এসেছিল, সবাই সতর্ক ছিল এদের ধরার জন্য। পাকবাহিনীর হাতে ধরা পরে নির্যাতনের একপর্যায়ে যখন পাকসেনা সিরাজকে দিয়েই ধর্ষণ করাতে চায় বড় বোনের সমতুল্য বিলকিসকে, তখন বন্দুক কেড়ে নিয়ে বিরোধিতা করতে যেয়ে খুন হয় সিরাজ।

    আরও পড়ুনঃ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে ৫০০ বই পড়া উচিত | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার

    পাক ক্যাপ্টেনের দুর্বলতার কারণ তৈরি হয় বিলকিস, নিজের সম্মান হারানোর আগে নিজেই মৃত্যুর মতো আঘাত হানে ক্যাপ্টেনের প্রতি। তাই ক্যাপ্টেন সুযোগ দেয় যে কি চায় সে সিরাজের লাশ নিয়ে।বিলকিস সৎকার করতে চায় তাঁর ভাইয়ের লাশ। সব সরঞ্জাম আনিয়ে নদীর পাড়ে দাহ করা হয় সিরাজকে এবং সিরাজের শব যখন আগুনে জ্বলছিল, সেই আগুনেই বিলকিস চেপে ধরে ক্যাপ্টেনকে।

    সিরাজ এক হিন্দু পরিবারের প্রদীপ নামের ছেলে ছিল। সবাইকে হারিয়ে মুক্তিবাহিনীর সাহায্য করতো। সেই সূত্রেই কাজ কাঁধে এসেছিল গ্রামের মাস্টারের মেয়ে ঢাকা থেকে আসায় তাকে সাহায্য করা।মৃত্যুর আগের রাতে সিরাজ জানায় সে প্রদীপ। বিলকিস নিজের আপন ভাইয়ের সৎকার না করতে পারলেও এই ভাইয়ের সৎকারের পণ করেছিলেন মনে মনে। অবশেষে দেশ মুক্তির ক্ষেত্রে ধর্মের উর্ধ্বে গিয়ে দুই ভাই বোনের প্রচেষ্টা দেখা যায়। কি হয় বিলকিসের? উপন্যাসটি পড়লে জানতে পারবেন।

    Download

    সুপ্তি দাস চৈতি
    সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

    নিষিদ্ধ লোবান pdf free download করতে এখানে ক্লিক করুন

    Facebook Comments
    x
    error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করুন