বইঃ দুর্গেশনন্দিনী
লেখকঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
~কাহিনী সংক্ষেপ~
মোগল সেনাপতি জগৎসিংহ, পাঠান সম্রাট কতলুখাঁর পথ প্রতিরোধ করবার লক্ষ্যে গড় মান্দারণ গ্রামে এসে পৌঁছয়। পথিমধ্যে ঝড়ের কবলে পড়ে দল ছেড়ে একা এক পুরোনো শৈলেশ্বরের মন্দিরে এসে আশ্রয় নেয়। সেখানেই দেখা মেলে পাঠান দ্বারা বহুপূর্বে নির্মিত দূর্গের জায়গীর পাওয়া বংশধর বীরেন্দ্রসিংহের কন্যা তিলোত্তমা আর দাসী বিমলার সহিত।
প্রথমে সক্ষাতেই একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হইয়া পড়ে। বুদ্ধিমতী বিমলা বুঝতে পেরে উভয়ের পরিচয় গোপন রেখে পরে আবার আসিয়া বলিবে যুবরাজকে এই প্রতিশ্রুত করিয়া ঝড় থামিলে চলিয়া আসে। এদিকে পাঠানদের প্রেরিত দাবী অস্বীকার করে বীরেন্দ্রসিংহ মোগল পক্ষ সমর্থন করে। ফলে যেই নিদিষ্ট রাতে বিমলা রাজপুত্র জগৎসিংহের সহিত দেখা করিতে যায় এবং যুবরাজ একটিবার মাএ তিলোত্তমার সহিত দেখা করিবার অনুনয় করে।
আরও পড়ুনঃ কপালকুন্ডলা PDF বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
অতঃপর দুজন মিলে যখন সবার অলক্ষ্যে দূর্গে প্রবেশ করে। তখন তাদের অলক্ষ্যে অনুসরন করিয়া পাঠান সেনাপতি ওসমান খাঁ সসৈন্যে চুপিসারে দূর্গে ঢুকিয়া পড়ে।ফলে তাদের হাতে বন্দি হয় বীরেন্দ্রসিংহ, বিমলা , তিলোত্তমা এরং আঘাতপ্রাপ্ত মোগল সেনাপতি জগৎসিংহ। কতলুখাঁর দন্ডে দন্ডিত বীরেন্দ্রসিংহ মৃত্যুর পূর্বে বলে যায় তিলোত্তমা তার কন্যা নয়।
তবে কে এই তিলোত্তমা? বিমলারই বা সত্যিকারের পরিচয় কি? জগৎসিংহ কি বেচেঁ যাবে অপেক্ষমাণ মৃত্যুর হাত থেকে? অথবা কি পারবে পাঠান দূর্গ থেকে বাঁচতে তার প্রাণপ্রিয় নন্দিনীকে। শেষ হতে হতে সব উওরই মিলে যাবে।
আরও পড়ুনঃ রাজসিংহ PDF বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
পাঠ প্রতিক্রিয়া :
দুর্গেশনন্দিনী কে ধরা হয় বাংলার প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে একথা বহুদিন থেকে শুনে আসছি। তাই পড়বার এক প্রবল ইচ্ছে মনে মনে তৈরি হয়েছিল পূর্বেই। আজ বলব পড়ে মুগ্ধ হলাম। 1865 সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসটির মত আজ পর্যন্ত কোন উপন্যাসের জন্ম হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। আমার কাছে এটাই বেষ্ট মনে হয়েছে। লেখনি কঠিন হলেও লেখকের বর্ণনা গুনেও আমি মুগ্ধ হয়েছি বলব।
লিখেছেনঃ মুনঈম সুলতানা সাথী
বইঃ দুর্গেশনন্দিনী [ Download PDF ]
লেখকঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
বঙ্কিম রচনাবলী প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড PDF Free Download করুন এখান থেকে