আনন্দমঠ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম একটি উপন্যাস। উপন্যাসটি লেখক রচনা করেছেন বাংলা ১১৭৬ সালে যে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তার প্রেক্ষাপটে। যখন সারা বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিলো তখন একদল মানুষ একটা সংগঠন তৈরি করেন। এবং তারা পরিচিতি লাভ করেন সন্তান হিসেবে। অর্থাৎ তারা দেশ মাতার সন্তান।
তারা দেশের সাধারণ লোকের দুঃখ গোছাতে রাজার ধন লুটপাট করে। যার এই সন্তান ধর্ম পালন করে তারা তাদের পরিবার থেকে বিছিন্ন থাকে এবং যতদিন না তাদের কার্যসিদ্ধি না হয় ততদিন পর্যন্ত তারা তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না। সন্তান এবং শাসক ও তাদের সহায়ক ইংরেজদের সাথে কয়েকবার যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধের ফলাফল এবং সন্তানেরা কি তাদের কার্যসিদ্ধি করতে পেরেছে কিনা জানতে পড়ে ফেলুন ‘বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়’ এর লেখা ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসটি।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে ৫০০ বই পড়া উচিত | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার
কাহিনী সংক্ষেপঃ বৃষ্টির অভাবে বাংলায় ফসল হয় নাই। দুর্ভিক্ষ চলছে। লোকজন না খেয়ে মারা যাচ্ছে। যারা বেচে আছে তারা গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি জমাচ্ছে। পদচিহ্ন গ্রামের মহেন্দ্র যথেষ্ট বিত্তবান। তার স্ত্রী কল্যানী ও মেয়ে সুকুমারী কে নিয়ে তাই এত দিনেও গ্রাম ছাড়ে নাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গ্রাম ছেড়ে শহরের দিকে রওনা হয়। পথিমধ্যে খাবারের সন্ধানে মহেন্দ্র বের হলে ডাকাতের কবলে পড়ে কল্যানী ও সুকুমারী। ডাকাতের হাত থেকে কোনমতে পালিয়ে আসলে বনমধ্যে আনন্দমঠে আশ্রয় দেয় সন্তানধর্ম প্রচারকারী সত্যানন্দ।
সত্যানন্দের সংস্পর্শে এসে মহেন্দ্র সন্তান ধর্মে দীক্ষিত হতে চায়। সন্তান ধর্মে দীক্ষিত হতে হলে নারীর সংস্পর্শ ত্যাগ করতে হবে। আর তার ব্যতিক্রম হলে প্রায়শ্চিত্ত হল যুদ্ধে মৃত্যু। সত্যানন্দের আরেক সহযোগী জীবানন্দ। তার স্ত্রী শান্তি। সন্তান ধর্ম গ্রহণ করে সে শান্তির থেকে বিচ্ছিন্ন। শান্তি তার স্বামীর ধর্ম পালন করতে পুরুষের চদ্মবেশে আনন্দমঠে আসে।কি সেই সন্তান ধর্ম? কি হবে সত্যানন্দ, মহেন্দ্র, কল্যানী, জীবানন্দ, শান্তির? সেই সাথে ভবানন্দ, ধীরানন্দ, নতুনান্দদের জানতে পড়ে ফেলুন আনন্দমঠ।
বইঃ আনন্দমঠ [ Download PDF ]
লেখকঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
বঙ্কিম রচনাবলী প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড PDF Free Download করুন এখান থেকে