বই: হিমু মামা
হুমায়ূন আহমেদ
হুমায়ূন আহমেদের হিমু চরিত্র প্রকাশিত হবার পর পরই চারদিকে বেশ সাড়া পড়েছিলো। যেকোনো যুবক মাত্রই নিজেকে হিমু ভাবতো, বা হিমু হবার জন্য হিমুর কাজগুলোকে অনুসরণ করতো। এগুলো শুধু কল্পনা নয় বাস্তবেও হতো। এরই প্রেক্ষিতে লেখা একটি বই হচ্ছে হিমু মামা।
‘হিমু মামা’ হিমু সিরিজের কোনো গল্প নয়।একজন যুবক যে হিমুতে মুগ্ধ হয়ে হিমু হতে চায় তার গল্প।
আজ বাড়িতে একজনকে শাস্তি দেয়া হবে, যাকে দেয়া হবে সে হচ্ছে টগরের মামা শুভ্র। শাস্তি দেবে টগরের চাচা চৌধুরি আজমল হোসেন। শুভ্রর অপরাধ সে হলুদ পাঞ্জাবী পরে হিমু হয়ে গেছে।
শুভ্র এবার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছে, সবার ধারণা সে ফার্স্ট অথবা সেকেন্ড হবে। কিন্তু শুভ্র এটা নিয়ে মোটেও চিন্তিত না। টগরও আশ্চর্য হয় না বরং আশ্চর্য হয় হিমু মামার চোখ টেরা করে ছবি তোলা দেখে।
টগরের মাথায় সব সময় দুষ্টুমি বুদ্ধি লেগেই থাকে। তার একটা হচ্ছে, পাপ করলে ভালো কাজ করে কাটাকাটি করে নেয়া। এজন্য গোপন কক্ষে একটা খাতাও আছে। এই যেমন দাদীর পান ছেঁচনি নিজেই লুকিয়ে রাখা পাপ, আবার কোথায় আছে তা বলে দেয়া পূণ্য।
চৌধুরী আজমল হোসেন বাড়ির কর্তা। এক সময় ওকালতি করতেন। এখন মাথায় একটা চুলও নেই। টগরের ইচ্ছে করে তাকে টাকলু চাচা ডাকতে কিন্তু পারে না। কারণ সবাই তাঁকে ভয় পায়। টগরের ধারণা বাড়ির আসবাবপত্র, চেয়ার টেবিল সব উনাকে ভয় পায়।
হুমায়ূনের লেখা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। যা পড়বেন ঘোর লাগবে। ঘোর কাটলে আবার পড়তে ইচ্ছে করবে। এই বইটাও তেমনি, এই বইটার কোনো বিশেষত্ব আমার চোখে পড়ে নি। বইটার তেমন কোনো বিশেষত্ব না থাকলেও মন্দ লাগবে না। তবে আমার মাঝে মাঝে একটু বিরক্ত লেগেছিলো,ঠিক বিরক্ত না একঘেয়েমী। হতে পারে হিমু সিরজের বই গুলো পরপর পড়া হয়েছে দেখে। আসলে কিছু জিনিস বিশেষত্বহীন হওয়াই ভালো ।
লিখেছেনঃ লাবনী খাতুন
বইঃ হিমু মামা
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
হুমায়ূন আহমেদ রচিত সকল বই রিভিউ সহ PDF ডাউনলোড করুন