রূপা নামটা শুনলেই বুকের মধ্যে একটা ধাক্কার মতো লাগে। নামটার সাথে জড়িয়ে আছে অদ্ভুত একটা প্রেমের গন্ধ। নামটা শুনতেই মনের মধ্যে ভেসে ওঠে মায়া মায়া মুখ আর শান্ত শীতল দুটি চোখের একটা ছবি। যে জোছনা রাতে হিমু আসবেনা জেনেও শাড়ী পরে ছাদে তার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। যেন বিরহিণীর জনম জনমের এই অপেক্ষাই এক ধ্রুপদী প্রেমের উপাখ্যান। কিন্তু এই বইয়ে যে রূপার কথা বলা হয়েছে, সে রূপা আর হিমুর রূপা এক না। এই রূপা হিমুর জন্য অপেক্ষা করে থাকে না। তবে একজনের জন্য করে।কে সেই ব্যক্তিটি?
গল্পের নামটা রুপা হলেও এই গল্পে রূপার বাইরে তার মা আর বাবার সম্পর্কের এক ব্যতিক্রম সমীকরণ লেখক দাঁড় করিয়েছেন।চিত্রায়ন করেছেন মলিনা আর মদিনার অদ্ভুত স্বভাব।
গল্পের মাঝখানে এসে উদয় হয়েছে চা’র দোকানদার সামছু আর তার ছেলে কেনতু।কেনতুর আছে অস্বাভাবিক এক শক্তি।প্রশ্ন হচ্ছে কি সেই শক্তি? সেই শক্তি কি শেষপর্যন্ত কোনো কাজে লাগবে? এমন বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর আপনি বইটিতে পাবেন।
মতামত: বইটার নাম দেখে ভেবেছিলাম হিমু-রূপার ঘটনা হবে হয়ত।কিন্তু পড়ে দেখলাম ঘটনা ভিন্ন।তবে এই রূপাও খারাপ না।দুইজন দুই রকম। গল্পে হারুন সাহেব আর সুলতান সাহেবের অংশগুলি বেশ মজার। রাহেলা চরিত্রটাও বেশ মজার।
