বইঃ বৃহন্নলা
সিরিজঃ মিসির আলি
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
হুমায়ূন আহমেদ কে ধন্যবাদ দিয়েই রিভিউটা শুরু করছি। এর আগে উনার যে কয়টা বই এর রিভিউ লিখেছি প্রতিটাতেই কেউ না কেউ “ভাই বৃহন্নলা বইটা পড়ে দেখুন” বা এই বইটা পড়ার জন্য সাজেশন দিয়েছিলো। ধন্যবাদটা তাদেরও প্রাপ্য। অবশেষে উপযুক্ত একটা ফিনিশিং পেয়েছি।
পর্যালোচনাঃ
লেখক হুমায়ূন আহমেদ ও জনাব মিসির আলি এই গল্পের মাধ্যমেই একে অপরের সাথে প্রথম সাক্ষাৎ করেন বলে বুঝতে পেরেছি। গল্পের শুরুতে হুমায়ূন আহমেদ তার মামাতো ভাই এর বিয়ের জন্য গ্রামে যান। কিন্তু যে মেয়ের সাথে বিয়ে হবার কথা সেই মেয়ের চাচাতো ভাই মারা যাওয়ায় সেদিন বিয়েটা হয়নি। বিয়ে পিছিয়ে পরদিন নেয়া হয়। এতো এতো বরযাত্রী রাতে এক বাড়িতে থাকতে পারবেনা ভেবে গ্রামের মানুষেরা একজন দুজন করে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায় রাতে থাকা খাওয়ার জন্য। হুমায়ূন আহমেদ যে ব্যাক্তির বাড়িতে থাকতে যান তার নাম সুধাকান্ত। কনের বাড়ি থেকে বেশ দূরে এই সুধাকান্তবাবুর বাড়ি। নির্জন যায়গায় একা একা থাকেন তিনি। রাতে ভালো খাবার রেধে খাওন হুমায়ূন আহমেদ কে। তারপর শুনান ভয়ঙ্কর এক ভৌতিক গল্প। বেশ ভালোই ভয় পান তিনি। সুধাকান্তবাবুর থেকে জানতে পারেন যে মেয়ের সাথে তার ভাই এর বিয়ে হবার কথা সেই মেয়ের কারণেই ছেলেটা আত্নহত্যা করেছে।
ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল তাদের মাঝে। পরদিন বিয়ে হয়নি তাদের। হুমায়ূন আহমেদ ফিরে আসেন ঢাকায়। ব্যস্ত হয়ে যান নিজের কাজে৷ একদিন বয়স্ক এক লোক বাসায় আসেন হুমায়ূন আহমেদ এর সাথে দেখা করতে। তিনি ব্যস্ত থাকায় পরে আবার আসতে বলে দেন ওই ব্যক্তিকে। তিনি আবার অন্য একদিন আসেন বাসায়। সেদিন তিনি হুমায়ূন আহমেদএর কাছে নিজেকে মিসির আলি বলে পরিচয় দেন এবং সুধাকান্তবাবুর কাছে শোনা ভৌতিক গল্পটা আবারো শুনতে চান। হুমায়ূন আহমেদ গল্পটা দুইবার করে শোনান। গল্প শুনে মিসির আলি সেই গ্রামে গিয়ে সুধাকান্তবাবুর সাথে দেখা করতে চান এবং হুমায়ূন আহমেদ কে তার সাথে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেণ। কারণ মিসির আলি এই গল্পের রহস্য উদ্ধার করতে চান। মিসির আলির কথা শুনে প্রথমে হুমায়ূন আহমেদ তাকে পাগল ভাবেন। কিন্তু তাকে ওইগ্রআমের ঠিকানা দিয়ে দেন। মিসির আলি গ্রামে গেলেও সুধাকান্তবাবুর সাথে দেখা হয়নি।
আরও পড়ুনঃ ভয় হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস PDF রিভিউ
ঢাকায় ফিরে মিসির আলি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে কাকতালীয় ভাবে হুমায়ূন আহমেদ এর সাথে আবারো তার দেখা হয়ে যায়। তিনি হুমায়ূন আহমেদকে একটা খাতা দিয়ে বলেন এইখানে এই রহস্য নিয়ে ডিটেইলস লিখা আছে খাতাটা যেনো তিনি পড়ে দেখেন। হুমায়ূন আহমেদ খাতাটা নিয়ে যান এবং পড়া শেষে আবারো হাসপাতালে ফিরে যান। মিসির আলির সাথে তিনি আবার সুধাকান্তবাবুর সাথে দেখা করতে সেই গ্রামে যেতে রাজি হন।
কি ঘটেছিলো সেই গ্রামে? গল্পটায় এমন কি ছিলো যে মিসির আলি এর রহস্য উদ্ধারের জন্য উঠে পরে লেগে যায়? শেষবারের মতো সেই গ্রামে গিয়ে কি তারা দুজন সুধাকান্তবাবুর দেখা পান? সমাধান কি করতে পারেন এই রহস্যের? জানতে হলে পড়তে হবে বইটা।
প্রতিক্রিয়াঃ
শুরুতেই ধন্যবাদ জানিয়েছি হুমায়ূন আহমেদ কে এই গল্পটার জন্য। আসলেই বেশ ভালো লেগেছে গল্পটা। স্টোরি টেলিং থেকে শুরু করে থিম ও পরিবেশের বর্ণনা, প্রতিটা অংশ ভালো লাগার মতো। উনার লেখার ধরণ আমার কখনোই পছন্দ ছিলোনা। তবে চেষ্টা করছি উনার বই গুলো পড়ে যেতে। এখন পর্যন্ত শুধু মিসির আলির ১০ টি পড়েছি। বাকিগুল শেষ করার ইচ্ছে আছে।
পড়তে থাকুন, ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ Sazzad Hossain KhudrrA
বইঃ বৃহন্নলা
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
হুমায়ূন আহমেদ রচিত সকল বই রিভিউ সহ PDF ডাউনলোড করুন