বৃষ্টি ও মেঘমালা- হুমায়ূন আহমেদ
হুমায়ূন আহমেদের অন্যসব বইয়ের মতোই এই বইটাও আমি একাধিকবার পড়েছি এবং প্রতিবারই কেঁদেছি। ভবিষ্যতে আরো কয়েকবারও যদি এই বইটা পড়ি প্রতিবারই অন্তুর জন্য কাঁদবো। এতটা আবেগ বন্দী আছে এই বইয়ে যা বলার বাইরে।
রিভিউ: মোটামুটি একটা ছোট কোম্পানি চালানো হাসান হঠাৎ করেই বিরাট বড় একটা প্রজেক্ট পেয়ে যায়। ইয়াকুব নামের এক বাড়াবাড়ি রকমের বড়লোক তার বিদেশী নাতনীর জন্মদিনে তাকে চমকে দেবার জন্য একটা পার্ক বানাবেন। সেই পার্কে কি থাকবে না থাকবে সেই দায়িত্ব হাসানের শুধু পার্কটা হতে হবে অসাধারণের চেয়েও কয়েক ডিগ্রি ওপরে। এরজন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করতেও ইয়াকুব সাহেবের কোন দ্বিধা নেই।
হাসান কাজপ্রিয় মানুষ। এই পার্কের পেছনে দিনরাত কাজ করার জন্য সে জয়দেবপুরে তাঁবু খাটিয়ে কয়েকশ শ্রমিক নিয়ে একনাগাড়ে বিরতিহীনভাবে কাজ করে যায়। তারজন্য স্ত্রী,কন্যা ও অসুস্থ পুত্রের দিকেও তাকানোর সময় তার থাকে না। হাসানের পুত্র অন্তু আবার বাবার জন্য পাগল। বাবা ছাড়া কিছুই বোঝে না। কিডনি ফেইলিউর জাতীয় কঠিন অসুখে তাকে যখন বিদেশে চিকিৎসা নিতে যেতে হয় তখনও হাসান তার পাশে থাকে না,সে ব্যস্ত থাকে অন্য আরেকজনের স্বপ্ন পূরনের কাজে।
গল্পে আরো আছে হাসানের কর্মচারী লীনা। যার বিয়ে প্রায় ঠিকঠাক হওয়া স্বত্তেও স্যারের প্রেমে পাগলপ্রায় অবস্থা। তার আচার আচরণ পুরোই কিশোরীদের মতো হলেও তার ছোটবোন বীনা যথেষ্টই বুদ্ধিমতি। লীনার সাথে যার বিয়ে ঠিক হয়েছে সেই ফিরোজ ভাইও যথেষ্ট বুদ্ধিমান এবং লীনাকে অসম্ভব ভালোবাসে।
স্বল্প পরিসরে লেখা একটা গল্প। চরিত্রসংখ্যা কম। কোনো নাটকীয়তা নেই।অপ্রয়োজনে পৃষ্ঠা ভরানোর জন্য বাড়তি মেদ যুক্ত করা হয়নি। তবুও কি অসম্ভব আবেগ এই ছোট্ট বইটার মধ্যে লুকানো! এর নামই হুমায়ূন আহমেদ। এটাই হয়তো সত্যিকারের জাদু!
লিখেছেনঃ জান্নাতুল ফিরদাউস
বইঃ বৃষ্টি ও মেঘমালা [ Download PDF ]
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে ৫০০ বই পড়া উচিত