বইয়ের নামঃ নিশীথিনী
লেখকের নামঃ হুমায়ুন আহমেদ
প্রকাশকঃ প্রতীক প্রকাশন
প্রকাশঃ ১৯৮৮ সালে
মোট পাতাঃ ১০১ টি
বইয়ের ধরণঃ রহস্য উপন্যাস
সিরিজঃ মিসির আলি
মিসির আলী সিরিজের প্রথম বই “দেবী” এর সিকুয়েল বলে যায় নিশীথিনীকে। দেবী উপন্যাসটি নিঃসন্দেহে হুমায়ূনপ্রেমীরা পড়ে ফেলেছেন। কিছুদিন আগে উপন্যাসটির গল্প থেকে নির্মিত চলচ্চিত্রটিও হয়তো দেখেফেলেছেন অনেকে। নিশীথিনী বইটির কাহিনী শুরু হয় দেবী উপন্যাসের পর থেকেই। প্রথম পার্ট দেবী -তে রানুর মৃত্যুর পর দেবী কথা বলে নীলুর সাথে, রানুর অভ্যাস গুলো পরিলক্ষিত হয় নীলুর মধ্যে।
নীলু আশ্চর্য ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠে যেমনটা রানু ছিল। নীলু আগে থেকে বলতে পারে কি হতে পারে, কী বিপদ, কার বিপদ, কে কী ভাবছে। এই বিষয় নিয়ে নীলু মিসির আলির সাথে কথা বলতে নিমন্ত্রণ করে আসে তাদের বাড়িতে । মিসির আলি যেতে রাজি হয় এবং এই মেয়েটাকে মিসির আলির কাছে রানুর মতো মনে হয়। তাদের বাড়ি খুঁজতে গিয়ে ঝামেলা হয়, খুঁজে না পেয়ে আবার ফিরে আসে।
আরও পড়ুনঃ নিষাদ হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস PDF রিভিউ
এরই ফাঁকে মিসির আলির কাছে অন্য একটা রোগী আসে যার নাম ফিরোজ। প্রায় সময়েই চিৎকার চেচামেচি করে অদ্কাভুত আচরণ করে কখনো কখনো একজনের সাথে কথাও বলে। অনেকটা রানু এবং নিলুর মত। ফিরোজের ব্যাপারটা ঘাটিতে ঘটনার শুরুতে যায় মিসির আলি। ফিরোজের বন্ধুর বাড়ি থেকেই এর সূত্রপাত। বেশ কিছু তথ্য যোগাড় করে ফেলে, এইফাঁকে মিসির আলীর কাজের মেয়ে কুড়িয়ে পাওয়া হানিফার পরিচয় বের করা নিয়ে নীলু সাহায্য করে, কারণ নীলু আগে থেকে সব জানে, হানিফার পরিবারকে খুঁজে বের করে মিসির আলি। পৌঁছে দেয় তাকে।
পত্রিকায় নীলু জানতে পারে শহরে খুনখারাবি বেড়ে চলছে, একটা লোক রাতে খালি গায়ে রড হাতে নিয়ে মানুষ খুন করে, একের পর এক খুন। নীলু দেবীর সাথে কথা বলে জানতে পারে মিসির আলির খুব বিপদ।তারপর এই রহস্যের উন্মোচন হয় বইয়ের শেষে।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ-
পার্ট ১ দেবীর চেয়েও পার্ট ২ বেশি ভালো লেগেছে। নীলু মিসির আলিকে সবকিছু থেকে রক্ষা করছিলো, আগলে রাখছিলো, নীলু চরিত্রটা ভালো লেগেছে আবারো। মিসির আলির কথা কি বলবো বুদ্ধি দেখে রীতিমতো হিংসে হচ্ছিল আমার।
বইঃ নিশীথিনী
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
হুমায়ূন আহমেদ রচিত সকল বই রিভিউ সহ PDF ডাউনলোড করুন