Skip to content
Home » জাদুঘরে ছবি তোলা নিষিদ্ধ কেন? বাংলাদেশের জাদুঘর সমূহ

জাদুঘরে ছবি তোলা নিষিদ্ধ কেন? বাংলাদেশের জাদুঘর সমূহ

    জাদুঘরে ছবি তোলা নিষিদ্ধ কেন
    Redirect Ads

    খ্রিস্টপূর্ব 313 খ্রিস্টাব্দে, মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় যাদুঘরের ধারণা জন্ম হয়। আলেকজান্ডার জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই সময়ে, ধারণাটি এমন ছিল যে যাদুঘরে একটি লাইব্রেরি থাকবে এবং গবেষকদের দ্বার উন্মোচন করে দিতে হবে।। এখানে অনেক গবেষণা করা হবে। এখন জাদুঘরে ছবি তোলা নিষিদ্ধ কেন চলুন জেনে নেয়া যাক।

    বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে, পেশাদার ফটোগ্রাফাররা আজকাল যে কোন উপায়ে যাদুঘরে ছবি তুলতে পারেন। যাদুঘরে ছবি তোলার মাধ্যমে, ফ্ল্যাশ ফটোগ্রাফির ফলে জাদুঘরের বিষয়বস্তুর ক্ষতি হতে পারে। পেশাদার ফটোগ্রাফারদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যামেরা নিয়ে জাদুঘরে প্রবেশের অনুমতি নেই যদি না তাদের বিশেষ অনুমতি থাকে। আসুন দেখে নেওয়া যাক মিউজিয়ামে ছবি তুলতে না পারার কারণগুলো কি কি এবং কেনই বা নোটিশ হিসেবে লেখা থাকে “No Flash Photography“।

    Download
    • জাদুঘরে যদি ছবি তোলার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে প্রত্যেকে দেখার চেয়ে ছবি তোলার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী হবে। যেমনটা আমরা এখন লক্ষ্য করি যখন আমরা বিভিন্ন ট্যুরে যাই। জায়গার সৌন্দর্য উপভোগ করার পরিবর্তে আমারা ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পরি। তাই প্রকৃতি আর সেভাবে উপভোগ করা হয়না ।
    • আরেকটি অন্যতম কারণ হলো, পেশাদার ফটোগ্রাফাররা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ক্ষতি করতে পারে। যেহেতু তারা পেশাদার, তারা বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে ছবি তুলতে চাইবে এবং অসাবধানতার কারণে যে কোন বস্তুর ক্ষতি করতে পারে।
    • প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তুগুলি ক্যামেরার ফ্ল্যাশের উচ্চ তীব্রতা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
    • সারা দেশ থেকে ভ্লগাররা জাদুঘর সম্পর্কে ভ্লগ ভিডিও তৈরি করবে। এই ভিডিওগুলি সাধারণ মানুষের তৃষ্ণা নিবারণ করবে। কর্তৃপক্ষ মনে করে এই কারণে জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের হারাবে এবং আকর্ষণ করে যাবে।
    • দুর্বৃত্তরা বা চোরাই কারবারিরা ছবি তুলে অনুরূপ আইটেম তৈরি করবে।
    • চোর ডাকাতরা ভবনের বিভিন্ন অংশের ছবি তোলে এবং চুরি বা ডাকাতির মাস্টারপিস তৈরি করে। যার জন্য নিরাপত্তার কারণে ছবি তোলা প্রায়ই নিষিদ্ধ।

    আরও পড়ুনঃ হ্যাজাক লাইট ও নব্বই দশকের শৈশব | হেজাক বাতি কি ?

    অন্যদিকে, ইউরোপ জুড়ে বিভিন্ন জাদুঘরের ভিতরে ছবি তোলা নিষিদ্ধ নয়। প্যারিসের বিশ্ব বিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে শত শত ছবি তোলা যায়, কিন্তু কেউ হস্তক্ষেপ করেনি। ইতালির কিছু গ্যালারিতে, একটি বা দুটি জাদুঘর ফ্লাশ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এটি এই কারণে যে ফ্ল্যাশলাইটগুলি সংবেদনশীল বস্তুর ক্ষতি করতে পারে। যাইহোক, এটি নগণ্য। মূলত এই কারণে, জাদুঘরে ফটোগ্রাফির কোন অনুমতি নেই।

    ব্রডগেজ মিটারগেজ ডুয়েলগেজ ও স্ট্যান্ডার্ডগেজ রেলের মাপ ও একটি অদ্ভুত সংখ্যা

    Facebook Comments
    Tags:
    x
    error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করুন