বইয়ের নামঃ কৃষ্ণপক্ষ
লেখকঃ হুমায়ন আহমেদ
প্রকাশনীঃ সুবর্ণ
বইয়ের পাতাঃ ৮৯
বইয়ের ধরণঃ ট্যাজিক উপন্যাস
মুদ্রিত মূল্যঃ ১৫০ টাকা
একটা মাত্র কুড়ি টাকার নোট আছে অরুর কাছে।
তাও সেটা জোড়াতালি দেওয়া। রিক্সাওয়ালা টাকাটা নিবেন না।
কি এক্টা অবস্থা দেখুন তো! অথচ অরু এই রিক্সায় করে এখানে এসেছে বিয়ের জন্য। দু এক ঘন্টার ভিতর মুহিব নামের এক বেয়ারার কাছে রেজিস্ট্রি করে দিবেন নিজেকে।
মুহিব আর জেবা দুই ভাইবোন; ওদের এ দুনিয়াতে আপন বলতে ঐ এক মামা ছাড়া কেউ আর নেই। জেবার বিয়ের পর পাঁচ বছরের মুহিবকে নিয়ে চলে আসে স্বামীর বাড়ি। জেবার স্বামীর টাকা পয়সা নিয়ে অহংকার অস্থি মজ্জাতে মিশে আছে। বাবা মা হারা মুহিব ছোট বেলা থেকে দুলাভাইয়ের মানসিক নির্যাতনে বড় হতে থাকে।
মুহিবের ধারনা এ দুনিয়াতে সব থেকে ভাল মানুষ তার বোন। মুহিবের একটা ভাগ্নি আছে। পিচ্চিটাকে তার বাবা সারা নামে ডাকলেও মুহিব তাকে প্রিয়দর্শিনী বলে শুধায়। উপন্যাসের শেষ দিকে ভাই-বোন আর মামা-ভাগ্নের আবেগ মাখা সম্পর্কের কিছু বচন পাবেন হৃদয় একেবারে শুষ্ক না হলে চোখ দিয়ে তখন দু এক ফোটা জল গড়িয়ে পরলেও পরতে পারে।
এ পৃথিবীতে প্রেম করে যারা অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছে আমার ধারনা অরু তাদের একজন। বাসর রাত হয় মুহিবের বন্ধুর বাড়ি। সে রাতে মুহিব যে হলুদ রঙ এর পাজ্ঞাবি পরে বিয়ে করেছিল তা নিজ হাতে পুরিয়ে ছায় বানায় অরু।
কারন, অরুর এই হলুদ রঙের পাঞ্জাবি পছন্দ হচ্ছেনা।
এ ঘটনার ঠিক পঁচিশ বছর পরের সামান্য কিছু চিত্র দিয়ে লেখক এ গল্পের ইতি টেনেছেন। তবে আশ্চর্যে বিষয়টা কি জানেন?
এই পঁচিশ বছর পর এসেও অরুর কন্যা রুচি তার জামাইয়ের বিয়েতে পরে আসা হলুদ রঙের পাঞ্জাবিটা পোড়ালেন বাসর রাতে।
রুচির যখন বাসর হয় তখন তার বাবা বেচে আছেন অথচ অরুর পঁচিশ বছর আগের সেই ভালবাসা বেচে নেই।
কেমন যেন মনে হচ্ছে না বিষয়টা!
সকল রহস্যের চাবি হুমায়ন আহমেদের
কৃষ্ণপক্ষের বাতায়ন খুললে পেয়ে যাবেন।
লিখেছেনঃ হাবিবুর রহমান
বইঃ কৃষ্ণপক্ষ [ Download PDF ]
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে ৫০০ বই পড়া উচিত