Skip to content
Home » আগ্রাসন – প্রণব নকরেক

আগ্রাসন – প্রণব নকরেক

    Redirect Ads

    Download

    -পড়ইমুনআ মখঅ দাগনঅ ? পড়ইযখুনুবা গামঅ রিমমইমুনান চানআ নাঙনো পড়ইযাওবা গামঅ রিমমনান নাঙনো। ( পইড়া করবি কি? পড়লেও কাম কইরাই খাইতে হইবো না পড়লেও ওই কাম কইরাই খাইতে হইবো)
    – আঙাবা ইখন আগানিঙা রো আবি। মিজাওনি গ্রাবই দঙজক আই। ( আমিও এইডাই কইতাসি দিদি। কাইলকা থেইকা কাইন্দা রইসে )
    -আমা বাবানই দিল্লাখবা নিনা নাঙনো বা। ( বাপ মায়ের দুঃখডাও দেহন লাগব )
    মেয়েটা মূক হয়ে নিশ্চল চোখে বিশাল অথচ কৃপন আকাশের দিকে দৃকপাত করে আছে। যেন কোন স্বৈরশাসক তার মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছে। বিধাতা যেমন গারো পাহাড়ের এই পাহাড়গুলোকে অতিকায় করে সৃষ্টি করেও মুখের ভাষাটুকু কেড়ে নিয়েছে তেমনি করে।

    এতক্ষণ প্রায় ক্ষয়িষ্ণু বোটের ভটভট শব্দে কানটা ব্যস্ত ছিল। অন্য কিছু গ্রহণ করার তার অবকাশ ছিলনা। দৈবাৎ যেন সেখানে করাঘাত করল কেউ। ভ্রম গেল ভেঙে। উদ্ভট আওয়াজটা যেন কোথায় উধাও হয়ে গেল। বরং এই কথাগুলোই তার কাছে বড় উদ্ভট হয়ে বারবার কানে আঘাত করছে। এ কথাগুলো কি সে পূর্বেও শুনেছিল না আজই প্রথম শুনছে? নাকি সে কুহকজালে আচ্ছন্ন ? না এই সিমসাং ( সোমেশ্বরি ), পাহাড়ের বুক বিদীর্ণ করে তার ওপার হতে বাংলায় প্রবেশ, এর স্বচ্ছ জল এবং পাহাড় , আকাশ আর
    সিমসাং -র এই অপরূপ মিলন ভ্রম হতে পারেনা । মিথ্যা হতে পারেনা।

    জাজং ম্রং- র মনে পড়ল সেই পুরনো কালাপানি গ্রাম। যার মুখায়ব কিছুটা আজ পরিবর্তিত। তবে গ্রামের মানুষের তেমন পরিবর্তন হয়নি। অর্থ, শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ সবকিছুতে তারা আজও ওই কালাতেই ডুবে আছে। তবু তাদের দিলটা কিছুটা সাদা। তবে যাদের নিত্য বাস ঐ মদের সাথে, কুসংস্কারের আবিলতা যাদের চামড়ায়, দারিদ্র্যের কঠিন বাস্তবতা যাদের নিত্যসঙ্গি, সভ্যতার আগ্রাসন যাদের জীবনকে রূঢ় স্বার্থবাদী করে তুলছে, প্রকৃতির স্বাভাবিকত্ব যেখানে বিলীনের পথে সেখানে তাদের সাদা দিল কালা হতে সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই গ্রামেরই ছেলে জাজং। তার পুরনো স্মৃতির ময়লা পাতাগুলো আজ যেন হঠাৎ দমকা হাওয়ায় ওলটপালট হয়ে গেছে। ধূলির স্তর সরে গিয়ে সেই পাতাগুলোর একটি পাতার স্মৃতি তার সামনে আলেয়ার মতো জ্বলে উঠল। পাহাড়ী পথের সেই তেঁতুল গাছ, যে গাছের তলায় সে শিহরিত হয়ে উঠত। এ গাছেই নাকি নগেন চাম্বুগং -র বাপ দড়িতে ঝুলেছিল। গাছটা আজও জীর্ণ হয়ে কালের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। এই পাহাড়ী পথেই গোপা দির সাথে সে কতবার সিমসাং -র পাড়ে এসেছে। আর কত গল্প করেছে। ঐ দূরের বিভক্ত করা কাঁটাতারটা দেখিয়ে দিদি বলত, নিকজক মান্দিরাং হাকঅ হিনদিগি দিনদাং দাগগুবা সিমসাংকো দে দিনদাং দাগনা মাঞ্জাজক। সিমসাংদে বিনি হাসিকা গিদান চলিঙা। আঙাবা বিনি গিদান চলিনা মানজুখুনো হা নামনঅমুঙ ( দেখসস, মানুষেরা মাটিকে কাঁটাতার দিয়া আলাদা করলেও সিমসাংকে পারেনি। সে তার ইচ্ছামতোই বয়ে চলেছে। আমিও সিমসাং-র মতো বয়ে যেতে পারলে ভাল হতো। ) জাজং ভাবত দিদি আবার সিমসাং – র মতো কীভাবে বয়ে যাবে।
    এ নিয়ে কত ভাবনা তার মাথায় ঘুরপাক খেত। মাঝে মাঝে তার ইচ্ছে হতো এ বিষয়ে দিদিকে সে জিজ্ঞেস করবে। কিন্তু পারেনা সে লজ্জায়। যদি দিদি অপমানের কিছু বলে বসে। তাহলে এই পাড়ার টিনের ছাদ দেয়া খসে পড়া বাঁশের বেড়া ঘেরা ঐ স্কুলটার সে যে এক নাম্বার ছাত্র তা ধুলোয় মিশে যাবে । না মনের ভাবনা মনেই রেখে দেয় সে।

    কালাপানি গাঁয়ের মিত্তেলা ম্রং – র মেয়ে গোপা ম্রং। আর গোপা ম্রং – র মাসির ছেলে জাজং। তার কল্পনার আকাশে আজ আঘাত হেনেছে অসংখ্য কালো মেঘের দল। সবকিছু যেন ভেসে আসছে সেই কালো মেঘের ভেলায় করে। সিমসাং- র স্বচ্ছ পানিতে যেন সেই বিশ বছর অতীতের প্রতিটা দিন আজ প্রতিবিম্বিত হচ্ছে। হ্যাঁ সেই দিন যেদিন হঠাৎ খবর এলো গোপা দির বাবা সিমসাং এর স্রোতে ভেসে গেছে । সময়টা তখন বর্ষাকাল । সিমসাং-র বুকে ভরা যৌবন। এই ভরা যৌবনের সিমসাং কতজনের যে কাল হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই । কিন্তু তা সত্ত্বেও এ গ্রামের অনেকেই সিমসাং – র ভরা যৌবনের এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করে । মস্ত বড় কাঠগুলো যখন ভেসে আসে ওপার হতে তখন মিলনের আশায় ডাকতে থাকা হরিণীর মতোই সিমসাংও তাদের যেন ডাকতে থাকে ৷ কিন্তু তারা কামনার তাগিদে নয় জীবিকার তাগিদেই এ ডাকে সাড়া দেয় । গোপা দির বাবাও সে ডাকে সাড়া দিয়ে আর ফিরলনা ৷ এরপর যা হবার হয়েছে । জাজং তখন গ্রামের সেই ভাঙা মিশনারী স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর এক নাম্বার ছাত্র। সিমসাং-র শ্বেত বালির মতোই চকচক করে সেসব স্মৃতি।
    গোপা দির মার কত স্বপ্ন ছিল দিদিকে বড় মানুষ করে তুলবে। কিন্তু সবার সপ্ন পূরণ হয় কিনা সেটা বিধাতা ছাড়া কারও জানার অধিকার নেই বোধ হয়। আমাদের অন্তত নেই । এদের স্বপ্নের কথা ভেবে হয়তো তিনিও মুচকি হাসেন ।

    Download

    জাজং মনে হল এইতো সেদিনের কথা। কতদিন সে গামছা পড়ে লেংটি চেপে স্কুলে গিয়েছে। তবু তা দেখে কেউতো হাসেনি। মাস্টারমশায়ও কোনদিন কিছু বলেনি। হয়ত ভাবতেন, পেটে ভাত যোগাতেই যেখানে ভাবনার অন্ত থাকেনা সেখানে পড়ালেখার জন্য যে এই সামান্য প্রচেষ্টা এটুকুই সবচেয়ে বড় পাওয়া। সেটাকেও যদি অতিরঞ্জিত করতে গিয়ে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে ফেলে তাহলে যে স্কুলটাই আর চলেনা। হ্যাঁ, সত্যই তো। কতদিন জাজংকে স্কুলে না গিয়ে মায়ের সাথে জঙ্গলে আম্ফেং আর সিত্থেং ( জংলি আলু ) তুলতে যেতে হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। দিনের পর দিন তাদের ভাতের অভাব এইসব জংলি আলু খেয়ে পূরণ করতে হয়েছে। আবার যখন ভাতের যোগার কিছুটা হতো তখন আবার তরকারির হদিস পাওয়া কষ্টকর হয়ে যেত। তার মা কীভাবে কলাগাছের চারা কেটে তার ভেতরের অংশ দিয়ে সুন্দর রেসিপি তৈরি করত আর তা দিয়ে কীভাবে ভাতগুলো গোগ্রাসে সাবাড় করে দিত সবই জাজং-র মনের কুঠরে আজ কাঠটুকরার মতো ধারালো চঞ্চুতে যেন ঠুকরে দিচ্ছে। আবার মাঝে মাঝে পেটের কোন অংশ ভাতের অভাবে যেন খালি থেকে যেত । জাজং ভাবতো বড় হয়ে যখন বাবার মতো কাজ করে টাকা হাতে পাবে তখন ইচ্ছেমতো খেয়ে খালি অংশটা পূরণ করবে । তার গোপাদি আর আজং-র ( জেঠি ) অবস্থাতো আরও অসহনীয় যেন সেই পাহাড়ী নদীর ঢলের মতো। হঠাৎ করেই যেমন জলে পূর্ণ হয়ে ওঠে তেমনি হঠাৎ করেই আবার শূণ্য হয়ে যায়। শুধু তাদের কেন এ কালাপানি গাঁয়ের সকল পাহাড়ী গারোদের জীবনের উপাখ্যান যেন একই কাহিনীতে গাঁথা। একবেলা খেতে পায় তো অন্য বেলা পেটে ক্ষুধা নিয়ে অন্নের সন্ধান করতে হয়। আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে তারা জীবনটাকে টিকিয়ে রাখতে। বিধাতাতো জীবন দান করেই খালাস। জীবনের মতো মূল্যবান বস্তু যে তোমরা পেয়েছ তার জন্য হাজারবার আমার শুকরিয়া কর এই যেন তার কথা। কিন্তু তারা কৃতজ্ঞতার সহিত সেটাও করেনা বিধায় বিধাতা যেন ক্ষুব্ধ হয়েই তাদের জীবনটুকু দিয়েই ক্ষান্ত হয়েছে। তবে বিধাতারও জানার ঘাটতি আছে বোধ হয়। তানাহলে তিনি বুঝতেন যে, পেটে যাদের ভাত নেই, ক্ষুধার জ্বালা যাদের প্রতিনয়ত দগ্ধ করে, তাদের কাছে ভোজ্য বস্তুই দেবতা হয়ে ওঠে। সেখানে জীবনদাতার থেকে জীবন রক্ষাকর্তাই মূখ্য হয়ে ওঠে।

    জাজং – র মনে আছে স্পষ্ট। যেদিন গোপা দির বাবা ফাজং ( জেঠা ) উখিন্দ্র হাগিদক অকালে মারা গেল সেদিন রাণীখং মিশন হতে পাদ্রী মি. লুই রোজারিও এসেছিল। সৎকারের পর তার আজংকে ( জেঠি ) বলেছিল ” ঈশ্বর যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন। আপনি চিন্তা করবেন না। ঈশ্বরের ইচ্ছা হয়েছে তাই তিনি তাকে ডেকে নিয়েছেন। ” আজং- র মুখের ভাষাও হয়তো সেদিন ঈশ্বর ইচ্ছা করেই কেড়ে নিয়েছিলেন তাইতো কোন কথা তার মুখে শুনেনি জাজং। ঈশ্বরের যখন যা করার ইচ্ছা হয় তখন তিনি তাই করতে পারেন। মানুষের কোন ইচ্ছা থাকতে নেই। কারণ সে যে তাঁর সৃষ্ট বান্দা। বান্দার আবার স্বাদ, আহ্লাদ, ইচ্ছে থাকতে আছে নাকি । হ্যাঁ সেদিন পাদ্রী অনেক আশার বাণী শুনিয়ে গিয়েছিলেন। গোপা দিকে সে বিনা খরচে মিশনের ঐ হাই স্কুলে পড়াবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। কথা রেখেছিলেনও। এমনিভাবে এ কালাপানিসহ অনেক গাঁয়ের মানুষের কল্যাণে মিশনারিরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ চেষ্টায় তাদের অন্য কোন স্বার্থ আছে কিনা সেটা বলতে পারিনা। তবে এটুকু বলতে পারি স্বার্থ যাই থাকুক সভ্যতার আলো যে কিছুটা হলেও বিচ্ছুরিত হয়ে এদের গায়ে পড়ছে আর সে আলোয় চোখের অন্ধকার দূর হচ্ছে সেটাই আশার কথা।

    ভালই চলছিল কিছুদিন। কিন্তু এসব মানুষ ভাল থাকুক সেটা বোধ হয় স্বয়ং ঈশ্বরও চান না। তাঁর ইচ্ছে হল তাই তিনি পাদ্রীকেও ডেকে নিলেন। গোপা দির মেট্রিক পরীক্ষা তখন মাস তিনেক দূরে। গোপা দির মা অনেক কষ্টে সে নিজের পেটের অন্ন যুগিয়ে যাচ্ছিল। কড়ি কেটে, অন্যের ক্ষেতে কাজ করে কষ্ট হলেও ভালই চলে যাচ্ছিল। তার মেয়ে যে পড়াশুনা করতে পারছে সেটাই তার কাছে পরম আনন্দের ছিল। একবার যখন পাদ্রী এসে তাকে বলল, “আপনার মেয়েতো প্রথম হয়েছে এ পরীক্ষায়। ” জাজং দেখেছে তার আজং- র ( জেঠি ) চোখের কোণে কফোটা জল কীভাবে গড়িয়েছিল। জাজং আজ খুব আশ্চর্য হয় এই ভেবে যে, শিক্ষার আলোতে যে আলোকিত হয়নি, মূঢ়তা যার আষ্টেপৃষ্ঠে লিপ্ত, যার সর্বাঙ্গ থেকে আদিমতার গন্ধ নিঃসৃত হয়, শিক্ষার প্রতি তার এতো আগ্রহ জন্মাল কি করে। সে ভাবে হয়তো পূর্বজন্মে তার আজং ( জেঠি ) শিক্ষিত, বনেদি পরিবারে জন্মেছিলেন।

    একদিন ভোরবেলায় পশ্চিম পাড়ার থুম্বি ম্রং এসে চিৎকার করছিল,
    – ও মিত্তেলা, চাখাৎখুজা দাওবা? ( কই মিত্তেলা, উডসনাই এহনও? )
    – বাসুগঅনই চাখাৎজক আঙা। মনআ হা? ( কবে উডসি আমি। কি হইসে? )
    – আগানিঙা যে মিচিকখঅ অতদেধবো ঢাকাচা। বিবাল দঙগুবা পার্লারো মান্দি রাঙনঅনআ। ( কই যে মাইয়াডারে এইবার ঢাকায় পাডাই দে, বিবাল যে পার্লারে থাহে ওইহানে মানুষ নিব নাহি। )
    এরপর অনেকক্ষণ নীরবে বসে ছিল আজং ( জেঠি )। এসময় থুম্বি ম্রং আবার বলে উঠল,
    – মখঅ চানছিমুনা দঙা ? মি চানা মানজাঙয়া হিনু পড়ইমুনআ মখঅ দাগনো। মনা চানছি দঙা। অতদেধবো। ( কি চিন্তা কইরা আসস? ভাত খাবার পাসনা আবার পড়ালেহা। চিন্তা কইরা থাহিস না। পাডাই দে।)

    Download

    এরপর জাজংকে একদিন তার গোপা দি এসে বলল,
    – না মখঅ আগানিঙা জজং? আঙা হিয়াংনাজক পার্লারচা? ( তুই কি কস ভাই? আমি পার্লারে যামুগা? )
    জাজং নির্ধিদায় একটি শব্দে বলে দিয়েছিল,
    – হিয়াংবো ( যা গা )
    দিদি সেসময় সজল চোখে তাকিয়েছিল তার দিকে। হয়ত অনেক আশা নিয়ে যেন শেষ আশ্রয়স্থল ভেবে তার কাছে এসেছিল দিদি। কিন্তু সেও তাকে নিরাশ করেছে। তারপর দিদি বলল,
    – নাআবা হিয়াংনা আগানিংজক? ( তুইও যাবার কইতাসস ? )
    এই কথাটা আজও বারবার আঘাত করে চলেছে জাজংকে। সে যদি মানা করত তাহলে হয়ত দিদি সহস্র বাধা এলেও পড়ালেখা ছড়ে শহরে পাড়ি দিত না এই তার ভাবনা। কিন্তু কি বা করার ছিল তার। যে দিনগুলো সে দেখেছে সেসব দিনের কথা মনে পড়লে আজও তার বুকটা হাহাকার করে ওঠে। হয়ত আজও সে একই উত্তর দিত। আজকেও কোন গোপা দি হয়ত দরিদ্রতার কঠিন প্রস্তরের শত আঘাতে নিগৃহীত হয়ে সিমসাং – র এই স্বচ্ছ জলের ওপর দিয়ে অনিশ্চিতের পথে এগিয়ে চলেছে। বিশ বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু গোপা দিরা আজও বেঁচে আছে। হয়ত বেঁচে থাকবে যুগ যুগ ধরে। এমন সময় কেউ একজন বলে উঠল,
    – মামা ভাড়াডা দেন।

    Facebook Comments
    x
    error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করুন