বইয়ের নামঃ অচিনপুর
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
অনুভব করছি সুখ এবং দুঃখ আসলে একই জিনিস।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুখ বদলে দুঃখ হয়ে যায়। দুঃখ হয় সুখ। জীবনের প্রবল দুঃখ ও বেদনার ঘটনাগুলো মনে পড়লে আজ আমার ভাল লাগে। প্রাচীন সুখের স্মৃতিতে বুক বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়।”
আমাদের সমাজে দেখা যায়, মা-বাবা হারিয়ে, এতিম শিশুরা নানাবাড়ি বসবাস করার সময় কতটা অবহেলিত হয়। তার কাছের মানুষ গুলোর কাছে। যা কখনো কারো কাছে বলতে পারেন না এতিম শিশুরা। তাদের মাঝে কি পরিমাণে- কষ্ট, যন্ত্রণা, ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে এরা বেচে থাকে। হ্যাঁ এমনটা না, হলেও অহরহ হচ্ছে সমাজে! তারেই কাহিনী তুলে ধরেছেন লেখক অচিনপুরের মাধ্যমে।
রঞ্জু ও লিলি ভাই বোন, তাদের বাবা মারা যাওয়ার পরে মা নানাবাড়ি নিয়ে আসেন তাদের, রঞ্জুর যখন তিনমাস তখন তার মাও মারা যায়, এক ধরণের চাপা কষ্ট নিয়ে বড় হতে থাকে। রঞ্জুর কাছের মানুষ হিসাবে থাকে বোন লিলি, কিন্তু লিলিও বিবাহ হয়ে যায়। এদিকে তার সঙ্গী হিসাবে নবুমামা থাকেন। নবুমামা বাদেও, বাদশাহ মামা আসেন তার পড়াশোনা একদম ভালো লাগেনা, তাই যাত্রাদলে যোগ দিয়ে ছিলেন, হঠাৎ একদিন বাদশাহ মামা এলাচি নামের একমেয়েকে বিবাহ করে নিয়ে আসেন। এলাচি সাথে আস্তে আস্তে রঞ্জু ও নবুমাম ভাব জমতে থাকে। হঠাৎ নবুমামার শরীর খারাপ হলে ডাক্তারি পরামর্শে রাজশাহী চলে যেতে হয়, সেখানেই পড়াশোনাও করেন।
রঞ্জুর, নবুমামার,ও এলাচি ভাবির কি হলো তাদের মাঝে জানতে চাইলে, পড়ুন অচিনপুর।
“অচিনপুর” হুমায়ূন আহমেদের একটি ব্যতিক্রমধর্মী উপন্যাস। উপন্যাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লেখক একটি মায়াজাল সৃষ্টি করেছেন। বইটি পড়ার সময় যে কেউই সেই মায়াজালে আটকে যাবে।
লিখেছেনঃ সবুজ মোড়ল
বইঃ অচিনপুর [ Download PDF ]
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে ৫০০ বই পড়া উচিত