বিশ্বসাহিত্য ভাষণ : মাক্সিম গোর্কি | প্রথম পর্ব | Maxim Gorky Bangla PDF
গরিব মানুষেরা গর্দভ হয় অভাবের কারণে, আর ধনী মানুষেরা গর্দভ হয় লোভের কারণে, এরকম একটি কথা মাক্সিম গোর্কি বলেছিলেন (অনুবাদটি আমার করা)। কথাটি কতোখানি সত্য, তা বাংলাদেশের দিকে তাকালে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। তাঁর আসল নাম পেশকোভ। ছদ্মনাম গোর্কি। গোর্কি শব্দের অর্থ ‘তিতা’। এ ছদ্মনামেই তিনি বেশি পরিচিত।
মাক্সিম গোর্কি এতিম হয়েছিলেন এগারো বছর বয়সে। বাবা মারা গিয়েছিলেন কলেরায়, মা যক্ষায়। সৎবাবার বুকে ছুরি মেরেছিলেন, কারণ সৎবাবাটি প্রায়ই তাঁকে খুব পেটাতেন। একবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন, তবে সফল হন নি। সফল হলে, রুশ সাহিত্যের কাজী নজরুলকে নিয়ে আমাকে এ ভাষণটি লিখতে হতো না।
নজরুল ও গোর্কির জীবনে চমৎকার সাদৃশ্য রয়েছে। দুজনেই দরিদ্র ছিলেন, দুজনেই প্রতিবাদী মানুষ ছিলেন, দুজনেরই প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনো ছিলো অল্প, এবং দুজনেই জেল খেটেছিলেন। শুধু দুজন জন্মেছিলেন দুটি আলাদা দেশে।
আরও পড়ুনঃ ম্যাক্সিম গোর্কির আত্মজীবনী আমার ছেলেবেলা, পৃথিবীর পথে, পৃথিবীর পাঠশালায় PDF
তলস্তয় ও চেখভের সাথে মাক্সিম গোর্কি র ভালো সম্পর্ক ছিলো, যেরকম আমাদের কাজী নজরুলের ছিলো ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সাথে। কাজী নজরুলের ভক্তরা অবশ্য লেখকদের সঙ্গ তেমন পছন্দ করেন না, তারা পছন্দ করেন শুধু তাঁর মাজারটিকে। নজরুলের কয়েকটি কবিতা ছাড়া এ ভক্তরা নজরুল সম্পর্কে আর কিছু জানে না। কিছু গোঁড়া মুসলিম, কেবল রবীন্দ্রনাথের বিরোধিতা করার জন্য নজরুলের ভক্ত হয়েছেন। অথচ নজরুল তাঁর প্রবন্ধগুলিতে, যে-মারাত্মক আঘাত এ ভক্তদের করে গেছেন, তা জানলে এরা আগামীকালই তাঁর মাজারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেবে। যেমন তাঁর হিন্দু-মুসলমান প্রবন্ধটিতে একটি লাইন আছে এরকম:
“……আল্লা ওরফে নারায়ণ হিন্দুও নন মুসলমানও নন। তাঁর টিকিও নেই, দাঁড়িও নেই। একেবারে ক্লিন।” (নজরুলের প্রবন্ধ সমগ্র, পৃষ্ঠা ১২৩, নজরুল ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ২০১১ সালের মুদ্রণ)
নজরুল প্রবন্ধটিতে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন, কিন্তু আমি জানি, ওই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা মগজে ঢোকার আগে তাঁর ভক্তরা ‘আল্লাহকে নজরুল নারায়ণ বলেছেন, দাঁড়িকে অপমান করেছেন, আল্লাহ ক্লিন শেভ করেন এরকম ইঙ্গিত দিয়েছেন’, এ নিয়ে হৈ চৈ করা শুরু করবে।
মাক্সিম গোর্কি কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। লেনিনের সাথে বলশেভিক পার্টিতে একসাথে কাজও করেছেন। রুশ জারদের প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছেন। তাঁর রাজনীতি আবর্তিত হয়েছিলো তাঁর দারিদ্র্য আর পারিবারিক যাতনাকে ঘিরে। তাঁর লেখক হওয়ার পেছনেও এটিই বড় কারণ বলে মনে করি।
তাঁর প্রকাশিত প্রথম সাহিত্যকর্ম ‘মাকার চুদ্রা’। এটি একটি ছোট গল্প। বের হয়েছিলো ১৮৯২ সালে, কাবকাজ নামের এক পত্রিকায়। মাক্সিম গোর্কি তখন ককেসিয়ান রেলওয়ের কিছু ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। ওখানে তিনি জীবনকে যেভাবে দেখেছেন, তা তাঁর ‘গোর্কি’ নামের অর্থে ফুটে উঠেছে। রুশ সমাজের তিতা সত্যগুলো তিনি উচ্চারণ করতে চেয়েছিলেন। তবে ‘মাকার চুদ্রা’-কে আমার অনেকটা টেলিভিশন নাটকের গদ্যরূপ মনে হয়েছে, যদিও মানুষের স্বাধীনতার চেতনা ও আত্মসম্মানবোধের যে-গুরুত্ব, তা গোর্কি এ গল্পে খুব সহজভাবে পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করেছেন।
কিন্তু লেখক হিশেবে তাঁর প্রথম খ্যাতি আসে ‘ওচের্কি ই-রাসকাজে’ নামের প্রবন্ধ ও গল্পসংকলনটি প্রকাশের পর। বইটি রুশ সাহিত্যে, সোশ্যালিস্ট রিয়ালিজমের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য। লেনিনকে যদি আপনারা বলেন রুশ প্রোলেতারিয়েতদের রাজনীতিক কন্ঠ, তাহলে আমি গোর্কিকে বলবো রুশ প্রোলেতারিয়েতদের লিটারারি কন্ঠ। তবে প্রোলেতারিয়েতরা সারা পৃথিবীতেই বিভ্রান্ত অবস্থায় থাকে, এবং যাকেই তারা নেতা মনে করে, সে-ই তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। লেনিনও এর ব্যতিক্রম ছিলো না। সম্ভবত এ ব্যাপারটি, গোর্কি আগেভাগেই বুঝতে পেরেছিলেন। এজন্য লেনিনের সাথে তাঁর বন্ধুত্ব টেকে নি। খুনিদের সাথে লেখকদের বন্ধুত্ব না থাকাই ভালো।
মূলত বলশেভিকদের অক্টোবর বিপ্লবের পর লেনিনের সাথে গোর্কির সম্পর্ক খারাপ হয়। এ প্রসঙ্গে গোর্কি লিখেছিলেন— লেনিন এবং ট্রটস্কি, এ দুই পাগল, ক্ষমতার বিষের স্বাদে উন্মাদ হয়ে গেছে। এরা এঁদের বিপ্লবের স্বপ্ন পূরণ করতে, মানুষের সকল মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। লেনিনকে গোর্কি, কোল্ড-ব্লাডেড ট্রিকস্টার বা ঠান্ডা মাথার ফন্দিবাজ হিশেবেও উল্লেখ করেছিলেন। এ বিষয়ে ব্রায়ান ময়নাহান, তাঁর “Comrades: 1917 – Russia in Revolution” বইয়ে বিস্তারিত লিখেছেন।
আরও পড়ুনঃ মা উপন্যাস ম্যাক্সিম গোর্কি PDF রিভিউ
ক্ষমতার একটি ধর্ম হলো, এটি যার উপর আছর করে তাকেই নষ্ট করে, যদি না আছরগ্রস্ত ব্যক্তিটির হৃদয়ে কোনো শেকল থাকে। লেনিনের হৃদয়ে কোনো শেকল ছিলো না। সে ছিলো আপদমস্তক রাজনীতিক গোঁড়া। বিপ্লবের নামে সে গরিব রুশ শ্রমিকদের, পায়ের জুতোর মতো ব্যবহার করেছিলো। একটি ঘটনা মনে পড়ছে। ‘ন-ভায়া জিজিন’ বা ‘নতুন জীবন’ নামে গোর্কির একটি পত্রিকা ছিলো। পত্রিকাটিতে গোর্কি, লেনিন ও তাঁর বলশেভিক পার্টির সমালোচনা করে কিছু প্রবন্ধ লিখেছিলেন। এগুলোর নাম ছিলো ‘আনটাইমলি থটস’ বা ‘অসময়ের চিন্তা’। প্রবন্ধগুলোতে গোর্কি মন্তব্য করেছিলেন— এমন কোনো অপরাধ নেই, যা লেনিনের পক্ষে করা সম্ভব নয়। রুশ জারদের চেয়ে সে কোনো অংশে কম নয়। সে একটি ভণ্ড। অবাদ গ্রেপ্তার, ও বাকস্বাধীনতার উপর লেনিনের অবাদ হস্তক্ষেপ, গোর্কিকে লেনিনের প্রতি বিষিয়ে তুলেছিলো। কবি গুমিলিয়োভকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন লেনিনের প্রতি তীব্র ঘৃণা থাকার পরও, গোর্কি, পেত্রোগ্রাদ থেকে মস্কোতে ছুটে গিয়েছিলেন। লেনিনের সাথে স্বশরীরে দেখা করে গুমিলিয়োভের মুক্তির আদেশ এনেছিলেন। কিন্তু পেত্রোগ্রাদ ফিরে এসে দেখেন, কবি গুমিলিয়োভকে ইতোমধ্যে লেনিনের চেকা পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলেছে। ঘটনাটি আমি নাদেজদা মন্ডেসটামের এক স্মৃতিকথায় পড়েছিলাম। মন্ডেসটাম ছিলেন গুমিলিয়োভের স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয়। গোর্কি কিন্তু লেনিন এবং গুমিলিয়োভ, এ দুজনের কাউকেই পছন্দ করতেন না। তারপরও একজন কবিকে গ্রেপ্তার হয়েছে, এটি তিনি মেনে নিতে পারেন নি। এজন্য ছুটে গিয়েছিলেন প্রাক্তন বন্ধুর কাছে। বন্ধু তাঁকে মুক্তির আদেশনামা দিলেন, এবং একইসাথে গ্রেপ্তারকৃত কবিকে মেরেও ফেললেন। লেনিন কি গোর্কির সাথে কৌতুক করেছিলেন কি না, তা আমার বোধগম্য নয়। হতে পারে, লেনিন গুমিলিয়োভের গ্রেপ্তারের বা মৃত্যুদণ্ডের খবরটি জানতেন না, কারণ তখন চেকা পুলিশ কাউকে ধরলেই অবিশ্বাস্য দ্রুততায় তার বিচার সম্পন্ন করতো (বিচার মানে কাউকে খুন করার বা জেলে পুরার স্রেফ একটি প্রক্রিয়া মাত্র)।
প্রশ্ন উঠতে পারে, গোর্কির প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনো খুব অল্প থাকার পরও কীভাবে তিনি রুশ সাহিত্যের একটি বড় আসন কেড়ে নিয়েছিলেন? এর উত্তর আমাদের কাজী নজরুলেই পাওয়া যাবে। নজরুল তাঁর ভেতরের অন্ধকার ঘুচিয়েছিলেন থিয়েটারে কাজ করে। এ ছাড়া তাঁর কিছু ধর্মীয় শিক্ষাও ছিলো। সেনাবাহিনীতে কজ করার সময় এক পাঞ্জাবী মৌলভীর কাছে তিনি ফার্সি ভাষাও শেখেন। ফলে রবীন্দ্রনাথ ও শরৎ চন্দ্রের পাশাপাশি, সৈনিক জীবনে তিনি ফার্সি কবি হাফিজের লেখাও পড়েন। নজরুলের ছড়া, কবিতা, গান, ও গজলে, কবি হাফিজ এবং উমর খৈয়ামের গাঢ় প্রভাব রয়েছে। এছাড়া কাজী মোতাহার হোসেন ও ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সাথে নজরুলের ঘনিষ্ঠতা ছিলো। এ ঘনিষ্ঠতা তাঁকে ভাষা ও দৃষ্টিভঙ্গীর উন্নতিতে সাহায্য করেছিলো। নজরুলের প্রবন্ধগুলোতে মোতাহার হোসেনের লেখা ও চিন্তার ছাপ রয়েছে বলে মনে করি। অনেকে ভাবেন, নজরুল মেট্রিক পাশ করেন নি, সুতরাং আমরাও মেট্রিক পাশ না করে নজরুল হতে পারবো। এটি ফালতু কথা। নজরুল মেট্রিক পাশ না করলেও, মেট্রিকের চেয়ে বেশি পড়াশোনো করেছিলেন।
নজরুলের মতো গোর্কিও স্বশিক্ষিত ছিলেন। তবে চেখভের সান্নিধ্য না পেলে, গোর্কি হয়তো থেকে যেতেন তুচ্ছ কোনো লেখক। গোর্কির নাট্যকার পরিচয়টা হয়তো অনেকে জানেন না। গোর্কির লেখার যে-বর্ণনারীতি, তার দৈন্যদশা দেখে চেখভ তাঁকে স্ট্রিন্ডবার্গের ‘মিস জুলি’ নাটকটি পড়তে দিয়েছিলেন। মস্কো আর্ট থিয়েটারের সাথেও গোর্কির পরিচয় চেখভের মাধ্যমেই। গোর্কি ইহুদী ধর্মের ভক্ত ছিলেন। এর কারণ সম্ভবত গুরু হাইল্লাল। হাইল্লালের চিন্তা গোর্কিকে খুব ঝাঁকি দিয়েছিলো।
আরও পড়ুনঃ দার্শনিক ভাষণ | বিষয়: শিক্ষা | প্রথম পর্ব | মহিউদ্দিন মোহাম্মদ
দস্তয়েভস্কির মতো, গোর্কিও ছিলেন অভিজ্ঞতা নির্ভর। তাঁর এখানে সেখানে চাকুরি, রাশিয়া থেকে দুইবার নির্বাসন, লেনিনের সাথে রাজনীতি, এগুলো তাঁর লেখায় গভীর প্রভাব ফেলেছিলো। তবে তাঁর লেখায়, সমাজবাদীতার উপস্থিতি আমার কাছে খুব একঘেয়ে লেগেছে। একটি দুটি লেখায় হলে ঠিক ছিলো, কিন্তু অনেক লেখায় তিনি ঘুরেফিরে একই থিম, একই গদ্যরীতিতে, শুধু স্থান-কাল-চরিত্র পাল্টে বর্ণনা করেছেন। নজরুলের নানা রচনায়ও এ ধরণের একঘেয়েমি রয়েছে। এর কারণ সম্ভবত উঁচু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাব। দস্তয়েভস্কির মতো পারিবারিক পড়াশোনার সুযোগও গোর্কি পান নি। যে-কারণে, তাঁর লেখায় পশ্চিমা কোন দার্শনিকের প্রভাবও আমার চোখে পড়ে নি। ‘মা’ উপন্যাসে তাঁর যে-সমাজবাদীতা, সেটি মূলত লেনিনবাদেরই একটি রূপ। তাঁর ‘পেটিবুর্জোয়া’ নাটকেও এই একঘেয়েমির উপস্থিতি আছে। তবে শুধু ‘পেটিবুর্জোয়া’ বা শুধু ‘মা’ পড়লে এই একঘেয়েমি টের পাওয়া যাবে না। তখন ‘মা’ বা ‘পেটিবুর্জোয়া’-কে খুব চমৎকার মনে হবে।
এর কারণ সম্ভবত, তলস্তয়ের মতো উঁচু রিয়ালিজমের চর্চা গোর্কি করতে পারেন নি। সমাজের উঁচু ও নিচুতলার যে-মিশ্রণ, তলস্তয় এবং দস্তয়েভস্কির লেখায় পাওয়া যায়, তা গোর্কিতে অনুপস্থিত। গোর্কি তাঁর চরিত্রগুলো আঁকতে, অনেকটা ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক এপ্রোচ নিয়েছেন বলে মনে করি। লেখার ফর্ম এবং স্টাইল নিয়েও গোর্কি মাথা ঘামাতেন না। এটি দোষের কিছু নয়, কারণ লিখতে লিখতে অনেক সময় লেখকের নিজস্ব ফর্ম এবং স্টাইল তৈরি হয়ে যায়। গোর্কির প্রধান লক্ষ্য ছিলো ঘটনা বর্ণনা করা। লেখায় শিল্পমানের চেয়ে তাঁর রাজনীতিক আইডিওলোজি বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। তলস্তয়ের সাহচর্য, গোর্কিকে কিছুটা তলস্তয় স্টাইলেও লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছিলো। ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’-এর যে-গদ্যরীতি, তার কিছু ছাপ গোর্কির ‘ফোমা গোর্দিভ’ উপন্যাসে রয়েছে। উপন্যাসটি গোর্কি, উৎসর্গ করেছিলেন চেখভকে।
তাঁর প্রকাশিত প্রথম গল্পটির মতো, এ উপন্যাসেও ব্যাক্তি-স্বাধীনতার চেতনাকে উপজীব্য করা হয়েছে। তবে এটিতে বণিকশ্রেণীর মানুষের দুটি দিক উদঘাটিত হয়েছে। গোর্কি দেখিয়েছেন, ফোমা ও ফোমার বাবা দুজনই ব্যবসায়ী, কিন্তু মানুষের প্রতি দুজনের দৃষ্টিভঙ্গী দুই রকম। ফোমার বাবার লক্ষ্য যেখানে শুধুই সম্পদ উপার্জন, ফোমার লক্ষ্য সেখানে সম্পদের পাশাপাশি শ্রমিকদের ভালোবাসা অর্জন। গোর্কি ফোমাকে সে-সুযোগও দেন। ফোমার বাবার মৃত্যুর পর দেখা যায় যে ফোমা ওই ব্যবসাকে লাটে তুলেছেন। কারণ ব্যবসায় ভালোবাসা ও খাতির চলে না। মূলত গোর্কি, ফোমার বাবার চরিত্রটি দিয়ে ওই সময়ের রুশ সমাজের নির্দয় ও অমানবিক দিকটিই ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে উপন্যাসটিতে তাঁর পুঁজিবাদ-বিরোধিতাও আমার নজরে পড়েছে।
তারপর পড়ুনঃ বিশ্বসাহিত্য ভাষণ : মাক্সিম গোর্কি | শেষ পর্ব
লিখেছেনঃ মহিউদ্দিন মোহাম্মদ
ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে ৫০০ বই পড়া উচিত | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার