আতশবাজি, লেজার লাইটিং, বিশাল সাউন্ডবক্সে ধুম ধাড়াক্কা হিন্দি গান বাজানো বাঙালির সাকরাইন?
দিনে দিনে আধুনিকতার মিশেল আনতে আনতে নিজেদের সংস্কৃতি বিকৃত করে অসভ্য হয়ে গেছি। গান বাজান সমস্যা নেই! কিন্তু ঢাকাইয়া গান, বাংলা গান, সংক্রান্তির গানের এতোই অভাব? এতোই ঠুনকো সংস্কৃতি?
পৌষের শেষে ঢাকাইরা শ্বশুরবাড়ি এলে তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হতো ঘুড়ি ও নাটাই। সব বাড়ির জামাইরা ঘুড়ি ওড়াতেন। ওড়াতো বাড়ির কর্তা থেকে বাকি সবাই। কখনো নাটাই থাকতো বাড়ির জামাইয়ের হাতে। আর কর্তার ছেলে থাকলে ছেলের হাতে। সব বাড়ির জামাইদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো। হয়তো এমনটা এখন আর হয় না। কিন্তু ঘুড়ি ওড়ানো তো পৌষ বিদায়ী উৎসবের অংশ, সাকলাইনের অংশ। আর ঘরে ঘরে পিঠাপুলির আয়োজন।
সাকরাইন খুব স্নিগ্ধ। সাকরাইনের সৌন্দর্য আতশবাজি না; সাকলাইনের সৌন্দর্য ঘুড়ি, সাকরাইনের মূল সৌন্দর্য ফানুস না; সাকলাইনের সৌন্দর্য ভোঁ কাট্টা’র মানে ঘুড়ি কাটাকাটি প্রতিযোগীতা, ঘরে ঘরে পিঠাপুলির আয়োজন। সাকরাইনের সৌন্দর্য লেজার লাইটে হিন্দি গান বাজানো না।
দিনের পর দিন আমরা বিকৃতি করতে করতে সাকলাইনের নাটাইটাই হারিয়ে ফেলবো। তখন সাকরাইন মানে হবে আতশবাজি, আর উচ্চস্বরে হিন্দি গান বাজানোর উৎসব।
লিখেছেনঃ Ahmad Istiak
বইয়ের ফেরিওয়ালায় আপনার লেখা প্রকাশ করতে চাইলে এইখানে লেখা জমা দিন।
ইউটিউবে বইয়ের ফেরিওয়ালার বুক রিভিউ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন