Skip to content
Home » বিপ্লবী লীলা নাগ

বিপ্লবী লীলা নাগ

    Leela Nag Roy First Female Student of Dhaka University লীলা নাগ
    Redirect Ads

    বেগম রোকেয়ার দেখানো পথে অবরুদ্ধ নারী সমাজের স্বাধীনতা, অধিকার আদায় ও আত্মবিকাশের পথনির্দেশকের হাল ধরেছিলেন লীলা নাগ। লীলা নাগের পৈতৃক বাড়ি বর্তমান মৌলভীবাজার জেলার রাজনগড় থানার পাঁচগাও গ্রামে। বাবার চাকরিসূত্রে আসামের গোয়ালপাড়া শহরে পরিবার থাকাকালীনে ১৯০০ সালের ২ অক্টোবর লীলা নাগ জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তাঁর মা-বাবা আদর করে ডাকতেন ‘বুড়ী’। একুশ-বাইশ বছর বয়সেও লীলা নাগ বাবা-মা ‘কে চিঠি লেখার সময় ‘তোমাদের স্নেহের বুড়ী’ লিখতেন। ব্যক্তিগত চিঠিতে ‘লীলা নাগ’ বা ‘লীলাবতী নাগ’ খুব কম ব্যবহার করতেন। পিতা গিরীশচন্দ্র নাগ ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট। মা কুঞ্জলতা গৃহিনী। মৌলভীবাজারের অন্যতম শিক্ষিত ও সংস্কৃতমনা পরিবার ছিল লীলা নাগের । ১৯১৬ সালে বাবা অবসরগ্রহণ করার পর ঢাকায় বক্সীবাজারে নিজ বাসায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

    ১৯০৫ সালে আসামের দেওগড় বিদ্যালয়ে লীলা নাগের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। কিন্তু সেখানে ভালো স্কুল না থাকায় ১৯০৭ সালে ভর্তি হন কলকাতার ব্রাহ্ম গার্লস স্কুলে। ১৯১১ সালে ভর্তি হন ঢাকার ইডেন হাইস্কুলে। লীলা নাগের চারদিকে ছিল শিক্ষা গ্রহণের অপরিহার্য উপাদান। সঙ্গীত, সেতার ও চিত্রকলাও শিখেছিলেন তিনি। ইডেন হাইস্কুলে নানাবিদ গুণাবলীর জন্য সকলের দৃষ্টি কেড়েছিলেন এবং নেতৃত্ব দেবার হাতেখড়িও তৈরি হয়েছিল সেইসময়ে। ১৯১৭ সালে সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ১৫ টাকা বৃত্তি পেয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্যে কলকাতার বেথুন কলেজে ভর্তি হন লীলা নাগ। পড়াশোনায় তাঁর যেমন গভীর আগ্রহ তেমনি ছিল খেলাধুলায় । নিয়মিত খেলতেন টেনিস, ব্যাডমিন্টন ও হাডুডু।

    Download

    বেথুন কলেজে ভর্তি হয়ে হোস্টেলে ওঠেন লীলা নাগ। কলকাতার রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের স্পর্শে তাঁর অধিকারবোধ জাগ্রত হয়। দীর্ঘদিন বেথুনে থাকাকালীন তাঁর নেতৃত্বে অনেক পুরাতন ধারা পরিবর্তন হয়। তাঁর দুঃসাহসী পদক্ষেপগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ‘ছাত্রী ইউনিয়ন’ নামে সংগঠন গড়ে তোলা, ‘রি-ইউনিয়ন’ নামে সামাজিকতার প্রবর্তন, লোকমান্য নেতা তিলকের স্মরণসভায় অধ্যক্ষ বাধা দিলে ধর্মঘট পালনের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো এবং বড়লাট পত্নীকে অসম্মানজনক শ্রদ্ধা জানাতে অস্বীকৃতি।

    শিক্ষা জীবন থেকেই তাঁর মধ্যে বিপ্লবী চেতনার স্ফুরণ ঘটেছিল। তিনি ১৯১৯ সালে আইএ পাশ করেন। এরপর ১৯২১ সালে বেথুন কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়ে ‘পদ্মাবতী’ স্বর্ণপদক লাভ করেন। একই বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে এম.এ শ্রেণিতে ভর্তি হন। যদিও তখন ঢাবিতে সহশিক্ষার প্রচলন ছিল না। লীলা নাগ প্রথমবার ভর্তির জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। জেদী লীলা নাগ কৃতী ছাত্র আলতাফ হোসেনকে নিয়ে উপাচার্য স্যার ড. জে. পি. হার্টগের সঙ্গে দেখা করেন। লীলা নাগের অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সেদিন উপাচার্য আইনি জটিলতাকে উপেক্ষা করেছিলেন। লীলা নাগের জন্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যাপীঠে তৈরি হয়েছিল সহ- শিক্ষার সিঁড়ি। এ প্রসঙ্গে সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন-

    “… তিনিই ছাত্রীরূপে সেখানে নবীন কালের দূতের মতো আবির্ভূত হয়ে মেয়েদের জন্য সেখানে শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করে দেন।”

    শিক্ষাজীবন শেষ করে জীবিকা নির্বাহের জন্য গতানুগতিক জীবনের পথে না গিয়ে লীলা নাগ নারীশিক্ষার প্রসার ও স্বদেশের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনে নিজেকে নিয়োজিত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় পরিচয় হয় বিপ্লবী অনিল রায়ের সঙ্গে। তারপর তিনি সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। যদিও বিপ্লবী রাজনীতিতে তাঁর যুক্ত হওয়া নিয়ে দলের মধে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু অচিরেই তাঁর নেতৃত্বের গুণাবলী দেখে নিজেদের সমালোচনা লীলার গুণের আলোচনায় রূপান্তরিত করেন।

    সেকালে নারীদের ভোটাধিকার ছিল না। ‘বঙ্গীয় নারীসমাজে’র পক্ষ থেকে নারীদের ভোটাধিকার আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিলেন লীলা নাগ। ১৯২২ সালে উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় সাহায্যার্থে সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে গঠিত ‘উত্তরবঙ্গ বন্যা ত্রাণ কমিটি’র সহ-সম্পাদিকা ছিলেন। বন্যায় বহু গ্রাম ঘুরতে হয়েছিল লীলা নাগকে। এ সময়ে তিনি লক্ষ্য করেছিলেন নারীদের দুর্দশা। নারীদের সংগঠিত করে চিন্তা ও কর্মে স্বাবলম্বী করার তাগিদ অনুভব করেন। অনগ্রসর নারী সমাজের উন্নয়নের লক্ষ্যে লীলা নাগ ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা লাভ। নারীদের অশিক্ষার অন্ধকার থেকে মুক্ত করার জন্যে ১২ জন সংগ্রামী বন্ধু নিয়ে তিনি গড়ে তোলেন ‘দীপালি সংঘ’। এই সংঘের মাধ্যমে দীপালি স্কুল ও আরও ১২টি অবৈতনিক প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। নারীশিক্ষা মন্দির ও শিক্ষাভবন নামেও দু’টি স্কুল তিনি প্রতিষ্ঠা করেন। অনিল রায়ের সহযোগে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাইস্কুল ও মেয়েদের জন্য ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন।

    Download

    ঢাকায় তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্কুল দীপালি-১ পরবর্তীতে নাম বদলে হয়েছে ‘কামরুন্নেসা গার্লস হাই স্কুল’ আর ‘নারীশিক্ষা মন্দির’ হয়েছে ‘শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়’। ঢাকার আরমানিটোলা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। এছাড়াও দীপালি ছাত্রী সংঘ, মহিলা আত্মরক্ষা কেন্দ্র, বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র, ছাত্রীনিবাস, পাঠাগার ও নারীরক্ষা ফাণ্ড গড়ে তোলেন। বিপ্লবী পুলিন দাসের নেতৃত্বে মেয়েদের জন্য ব্যায়ামাগারও গড়ে তোলেন। এখানে ছুরি চালনা, অস্ত্র চালনা ও লাঠিখেলা শেখানো হতো। এত সব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার কাজে লীলা নাগকে সহযোগিতা করেছিলেন পিতা গিরিশচন্দ্র নাগ। একসময় তিনি প্রচুর ঋণ করে দেউলিয়া হলেও হাল ছাড়েননি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দীপালী সংঘের কার্যক্রম দেখে প্রশংসা করেছিলেন।

    লীলা নাগের যুগটা ছিল বাল্যবিবাহের প্রথা ও নারীশিক্ষার প্রতিকূল পরিবেশ। লীলা নাগের বাবা বারবার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁর ইচ্ছা ছিল আজীবন দেশের সেবা করা, দেশের স্বাধীনতা আনা – তারপর সংসারের বন্ধন। কিন্তু মায়ের মৃত্যু ও বৃদ্ধ বাবার অনুরোধে শেষপর্যন্ত বিপ্লবের প্রেরণাদাতা ও শ্রীসংঘের প্রতিষ্ঠা অনিল রায়ের সঙ্গে ১৯৩৯ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্যজীবন লীলা নাগের দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ক্যান্সারে ১৯৫২ সালে পূর্ববঙ্গে অনিল রায়ের অকালমৃত্যু ঘটে।

    দীপালি সংঘ তৈরির আগে থেকেই লীলা নাগ বিপ্লবীদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীপালী সংঘের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের নেতৃত্বে ছিলেন লীলা নাগ। যদিও প্রশিক্ষণ চলত গোপনে। প্রীতিলতা ওয়াদ্দের ছিলেন দীপালী সংঘের সদস্য এবং লীলা নাগের শিষ্য। নারী জাগরণের ধারাকে সচল রাখতে ভারতবর্ষে প্রথম ছাত্রী সংগঠন ‘দীপালী ছাত্রী সংগঠন’ প্রতিষ্ঠা করেন লীলা নাগ। ছাত্রীদের দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি সামাজিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিয়েছিল সংগঠনটি।

    সাইমন কমিশনের পরিকল্পনা ও প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সমগ্র ভারতবর্ষে গণআন্দোলন গড়ে ওঠে। লীলা নাগ সেইসময় ঢাকার রাজপথ উত্তপ্ত করে তুলেছিলেন। ১৯২৮ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মহিলা সম্মেলনে বাংলার নারী আন্দোলনের ইতিহাস ও গতিধারা নিয়ে বলার সময় সর্বভারতীয় নেতাদের দৃষ্টিতে পড়েছিলেন লীলা নাগ। তাঁর বিপ্লবী জীবনের পথ এর মাধ্যমে আরো প্রশস্ত হয়।

    Download

    পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে দীপালি সংঘের বৈপ্লবিক পরিবর্তন হতে থাকে। দলে দলে মেয়েরা এর পতাকাতলে সমবেত হতে থাকে। আসাম ও বাংলার বিভিন্ন স্থানে এর শাখা বিস্তৃত হতে থাকে। নারী সমাজের মুখপাত্র হিসেবে ‘জয়শ্রী’ নামে একটি পত্রিকাও বের হয়। যার মূল ভূমিকা পালন করেন লীলা নাগ।

    ১৯৩০ সালে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু হলে আশালতা সেন ও লীলা নাগের নেতৃত্বে ঢাকায় গঠিত হয় ‘মহিলা সত্যাগ্রহ কমিটি’। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের পর ব্রিটিশ সরকারের দমননীতির ফলে অনেক বিপ্লবী গ্রেফতার হন। এসময় অনিল রায় গ্রেফতার হলে ‘শ্রীসংঘের’ দায়িত্ব পড়ে লীলা নাগের উপর। ভারতবর্ষে কোনো বিপ্লবী দল পরিচালনায় তিনিই ছিলেন প্রথম মহিলা।

    শ্রীসংঘের সদস্যরা সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনার জন্যে অস্ত্র সংগ্রহ ও বোমা তৈরির কাজ করতেন। বোমার ফর্মুলা নিয়ে কাজ করতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ছাত্র অনিল দাস, ক্ষিতীশ, বীরেন, ফটিক ও শৈলেশ রায়। ১৯৩১ সালে বিপ্লবীদের কার্যকলাপ আরও জোরদার হয়। পরপর বেশ কিছু জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা জজ বিপ্লবীদের হাতে নিহত হন। এর মধ্যে কুমিল্লার জেলা জজ স্টিভেন্সের হত্যাকাণ্ড ঘটে। পর্যায়ক্রমে এসব হত্যাকান্ড পুলিশ প্রশাসনকে ভীত ও দুর্বল করে তুলেছিল। তারা মরিয়া হয়ে উঠেছিল মূল চালিকা শক্তিকে সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে। অবশেষে ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর বহু কৌশলে লীলা নাগকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ১৯৩৭ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত লীলা ঢাকা, রাজশাহী, সিউড়ী, মেদিনীপুর জেল ও হিজলী বন্দিশালায় টানা ৬ বছর আটক ছিলেন। তাঁর কারামুক্তির খবর শুনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চিঠিতে অভিবাদন জানান। ভারতবর্ষে বিনা বিচারে আটক হওয়া প্রথম নারী রাজবন্দী লীলা নাগ। পরবর্তী সময়ে অনেকবার কারাভোগ করতে হয়েছে তাঁকে।

    ১৯৪৭ এর দেশভাগের পর লীলা নাগ পূর্ববঙ্গে আসেন। দেশ বিভাগের পর সংখ্যালঘু ও বাস্ত্রহারাদের চরম দুঃখ ও দুর্দিনে পাশে ছিলেন তিনি। শরণার্থীদের পুনর্বাসনের কাজ করতে গিয়ে সলিমুল্লাহ এতিমখানায় সন্ধান পেয়েছিলেন বেগম সুফিয়া কামালের। কবি সুফিয়া কামাল কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে এলে লীলা নাগ তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা ঘোষণায় জিন্নাহ’র সমালোচনা ও প্রতিবাদ করেন লীলা নাগ।
    ১৯৫১ সালে ভারত সরকার প্রণীত উদ্বাস্তু উচ্ছেদের বিলের বিরোধীতা করে আবারও গ্রেপ্তার হন লীলা।

    Download

    ১৯৬৪ সালে ‘পূর্ববাংলা বাঁচাও কমিটি’র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে পুলিশ লীলা নাগকে গ্রেফতার করে। ১৯৬৬ সালে ছাড়া পাবার পর তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাঁকে কলকাতার পি.পি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হার্ট ইউনিটের ৫ নং ক্যাবিনে। ২৩ দিন পর সংজ্ঞা ফিরে এলেও বন্ধ হয়ে যায় তার বাকশক্তি। শরীরের ডানদিকও অচল হয়ে যায়। এভাবেই আড়াই বছর চলার পর ১৯৭০ সালের ১১ জুন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের এক মহান বিপ্লবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী, উপমহাদেশের নারী সমাজের জাগরণের অগ্রদূত, অগ্নিকন্যা লীলা নাগ পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।

    বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মানসকন্যা, কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের প্রখ্যাত বিপ্লবী উপাখ্যানের নায়িকা ছিলেন তিনি। মানবতাবোধে জাগ্রত, দেশভক্ত, বিদ্রোহী, বিপ্লবী এই মহিয়সীকে কালের ব্যবধানে ভোলা যায় না, ভুলে যাওয়া উচিত না।

    লিখেছেনঃ সজল কুমার
    বাংলা বিভাগঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
    প্রতিষ্ঠাতাঃ বইয়ের ফেরিওয়ালা

    বইয়ের ফেরিওয়ালা থেকে বই ধার করতে সদস্য হোন

    বইয়ের ফেরিওয়ালায় লিখতে চাইলে এইখানে লেখা জমা দিন

    Facebook Comments
    x
    error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করুন