‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’র একটি উদ্ধৃতি ছিল তাঁর বইটির শুরুতেই: ‘বুড়ো বয়সে সঙ সেজে রং কত্তে হোলো। পূজনীয় পাঠকগণ বেয়াদপী মাফ কর্বেন।’ আমাদের সৌভাগ্য, বুড়ো বয়সে তিনি ওই ‘বেয়াদপী’ শুরু করেছিলেন। তা না হলে আমরা তাঁর লেখনির সঙ্গে পরিচিত হতাম না! বিচিত্র এক কৌতুকবোধ তাঁর লেখায় রয়েছে, যেন তিনি লেখেন না, বলেন, আড্ডায় বসে বলার মতো, যা আত্মচরিত হয়েও হয় না।
সমাজের বা মানুষের জীবনের বিপর্যয় থাকে তাতে, আরো থাকে বিপর্যয়ের মধ্যে থেকেও রসের রসদ। ইতিহাসবিদ হিসেবে তাঁর যতসাফল্যই থাক, ‘রোমন্থন অথবা ভীমরতিপ্রাপ্তর পরচরিতচর্চা’ ও ‘বাঙালনামা’ পড়তে পড়তে মনে হয়, মনের দিক থেকে সারাটা জীবনই তিনি কাটিয়ে গেলেন উদ্বাস্ত মতো।
যে বিচিত্র কৌতুকবোধ তাঁর ওই বই দুটিতে ছড়িয়ে আছে, তা বোধ করি ওই ভাসমানতাকে লুকিয়ে রাখারই প্রবল প্রচেষ্টা। রোমন্থনকে বলা যায় লেখকের জীবনের টুকরো কথন, ছড়ানো-ছিটানো সময়ের মিলিয়ে-মিশিয়ে গল্প। সে সময় মূলত তিরিশ আর চল্লিশের দশকের সীমানা জুড়ে, পটভূমি বরিশাল জেলা।
বইয়ের ফেরিওয়ালা থেকে বই ধার করতে সদস্য হোন
বইয়ের ফেরিওয়ালা থেকে বই ধার করতে সদস্য হোন
বইয়ের ফেরিওয়ালায় লিখতে চাইলে এইখানে লেখা জমা দিন