শিরোনামেই নিশ্চই পাঠক অনুমান করছেন ভেতরের পাতায় ঘুরতে যাবার আকর্ষণীয় বিষয় থাকতে পারে। হ্যাঁ , আপনাদের অনুমানই সঠিক, এটি ভ্রমণকাহিনি। তবে কে লিখেছেন? কবি শঙ্খ ঘোষ! হ্যাঁ , কবির কবিতার সাথে আমরা সবাইই কমবেশি পরিচিত। এবার আমরা কবির লেখক মনের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পাচ্ছি। সূচনাকথা হিসেবে লেখক নিজেই জানিয়েছেন: এ বইতে যে ভ্রমণও নেই কাহিনিও নেই, আছে টুকরো টুকরো কিছু ঘটনা মাত্র, পাঠকদের সেটা অগ্রিম জানিয়ে রাখি”
সহজ – সাবলীল ঢঙে রচিত ছোট্ট বইটি এক বসাতেই শেষ করা সম্ভব। তাঁর ভ্রমণকথা নিয়ে আমি আর তেমন কিছুই বলতে চাইছি না। কারণ টুকরো টুকরো ঘটনাগুলো পাঠক পড়ে নিলেই বেশি তৃপ্তি পাবেন , বিশ্লেষণ করার মতো কিছু দেখছি না।
তবে সবথেকে আকর্ষণীয় বিষয় হলো এই বইয়ের একটা অধ্যায় “বেড়াতে যাবার সিঁড়ি”, এই অধ্যায়ে আমরা আমাদের বাংলাদেশের মোহনীয় রূপ খুঁজে পাই, দেশ ভাগের পূর্বের স্মৃতিগুলো জ্বলজ্বল হয়ে ফুটে ওঠে গুটিকয় বাক্যে। সেই সাথে তাল মিলিয়ে চলে আরো একটা অধ্যায় “পঞ্চাশ বছর পর” যেখানে আমরা আমাদের কুষ্টিয়ার দারুণ রূপ দেখতে পাই, শিলাইদহ, হার্ডিং ব্রিজ , লালন ফকিরের মাজার, কতশত নদীর ছুটে চলা –মোটকথা দারুণ লেগেছে বর্ণণাভঙ্গি।
আমি ভ্রমণকাহিনি তুলনামূলত কম পড়ি, আমায় আত্মজীবনী বেশি টানে। তাই যারা ভ্রমণকাহিনি পড়তে ভীষণ পছন্দ করেন তাদের জন্য অবশ্য সুখ-পাঠ্য গ্রন্থ।
গ্রন্থ- বেড়াতে যাবার সিঁড়ি লেখক- শঙ্খ ঘোষ প্রকাশনী- স্বর্ণাক্ষর মুদ্রিত মূল্য - ২৪০ টাকা রিভিউ করেছেন: প্রিয়াংকা বিশ্বাস বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বইয়ের ফেরিওয়ালা থেকে বই ধার করতে সদস্য হোন